জুন ২৯, ২০২২, ০৩:৩৭ পিএম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তার প্রতিরোধে জনগণ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, মাস্ক না পরলে সরকার আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন করতে জনগণকে সচেতন করতে সরকার কাজ করছে। জনগণ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, মাস্ক না পরলে সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগ করবে।” করোনার সংক্রমণ বাড়ায় এ সময় বেশি করে করোনা পরীক্ষা দরকার বলেও তিনি পরামর্শ দেন।
৫-১২ বছরের শিশুদের করোনার টিকা দেওয়া বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, “শিশুদের জন্য উপযোগী টিকাও আমাদের হাতে এসেছে। শিগগিরই ৫-১২ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। জুলাই মাসের মাঝামাঝি শিশুদের টিকা পেলে ওই মাসের শেষে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে পারব।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “এই টিকাদান কার্যক্রম চালাতে যে ধরনের ডকুমেন্টেশন প্রয়োজন, আশা করি তা আমরা এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।”
জাহিদ মালেক বলেন, “এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ পেয়েছেন এমন সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া প্রায় শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দু–এক দিনের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ পূর্ণ ডোজের আওতায় আসবে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত রবিবার পর্যন্ত সারাদেশে ১২ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১১ কোটি লাখ ৯৪ লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষকে।