জানুয়ারি ৩১, ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম
২০১৩ সালের ধর্ষণের একটি মামলায় ভারতের স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’ আসারাম বাপুকে (৮১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
আশ্রমে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়েছে-এমন অভিযোগে ‘ধর্মগুরু’র এক শিষ্যার দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার গুজরাটের একটি আদালত ওই রায় ঘোষণা করেন।
হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ধর্মগুরু’আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, জোর করে আটকে রাখা, মহিলাদের সঙ্গে অপরাধমূলক কাজ করা, মারধর করা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল। আদালতের বিচারপতি ডিকে সোনি আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মীবেন, তাদের মেয়ে ও চার শিষ্যকে অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছেন।
এ রায়ে সন্তুষ্ট নয় আসারাম। তাঁর আইনজীবী সিবি গুপ্তা জানিয়েছেন, গুজরাট হাই কোর্টে সেশন কোর্টের রায়কে চ্য়ালেঞ্জ জানানো হবে। প্রায় সাড়ে ৯ বছর ধরে ট্রায়াল চলেছে। ৫৫জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর আসারামের বিরুদ্ধে আমেদাবাদের একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আরও ৬জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সুরাটের এক মহিলা আসারামের আশ্রমে থাকতেন। সেই সময় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তিনি আশ্রম থেকে পালিয়ে যান।
এদিকে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করা হয়। এদিকে নির্যাতিতা মহিলার বোনকে ধর্ষণ ও জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল আসারামের ছেলের বিরুদ্ধে। সেই ছেলে নারায়ণ সাইকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সুরাটের দায়রা আদালত।
আসারামের বয়স বর্তমানে ৮১ বছর। তিনি বর্তমানে যোধপুর জেলে রয়েছেন। ২০১৩ সালে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে জেল খাটছেন তিনি।
তখন অভিযোগ উঠেছিল ২০১৩ সালে আশ্রমের ঘেরাটোপের মধ্যেই এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছেন আসারাম। এরপর তাকে ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। যোধপুরের একটা আদালত তাকে এরপর দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এবার ফের অপর ধর্ষণের মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাকে। সেখানে যাবজ্জীবন হল তার।
এদিকে অপর স্বঘোষিত গুরু রাম রহিমের মতোই আসারামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে গোটা দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছিল বিগত দিনে। কোনও স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চর্চার কেন্দ্রে ছিলেন আসারাম। তার জীবনযাত্রা নিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে। আশ্রমের মতো পবিত্র স্থানেই তিনি অপকর্ম করতেন বলে অভিযোগ।