নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার কোয়ারা রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী রাজা সেগুন আরেমুকে প্রাসাদে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় রানী ও তার সাথে আরও একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। হামলাকারী কারা বা তাঁরা কোনো মুক্তিপণ দাবি করছে কি না— তা জানা যায়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়। নাইজেরিয়ায় অপহরণের ঘটনা মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারির দাবি ওঠার দিন কয়েকের মধ্যেই এই হত্যা ও অপহরণের ঘটনা ঘটল।
সেগুন আরেমু সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ও রাজা। তাঁর আনুষ্ঠানিক উপাধি ‘কোরোর ওলুকোরো’।
রাজা আরেমু হত্যাকাণ্ডকে বেপরোয়া, মর্মান্তিক ও জঘন্য আখ্যা দিয়ে নাইজেরিয়ার গভর্নর আব্দুল রহমান আব্দুল রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় দায়ীদের আটক করবে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
নাইজেরিয়ায় গত কয়েক মাসে অপহরণের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে অপহরণকারীরা কাছের একিতি রাজ্যে পাঁচ স্কুলশিশু এবং চার শিক্ষককে জিম্মি করে তাদের মুক্তির জন্য বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করেছে।
গত বুধবার রাতে রাজধানী আবুজার বোয়ারি শহরতলীতে অপহৃত হয়েছে এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। এই এলাকার কাছেই আরেকটি বাড়ি থেকে গতমাসে ছয় বোনকে তাদের বাবাসহ অপহারণ করা হয়েছিল। মুক্তিপণ দিতে দেরির কারণে ওই ছয় বোনের একজনকে মেরে ফেলা হয়।
এসব ঘটনা মোকাবিলায় এরই মধ্যে দেশটির সুশীল সমাজের ৫০টি সংগঠন প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুর কাছে জরুরি অবস্থা জারির দাবি জানিয়েছে। সংগঠনগুলো বলেছে, গত বছর মে মাসে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এক হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ অপহৃত হয়েছে।