দক্ষিণ চীন সাগরে ধাক্কা খেল মার্কিন সাবমেরিন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ৮, ২০২১, ০৬:৫০ পিএম

দক্ষিণ চীন সাগরে ধাক্কা খেল মার্কিন সাবমেরিন!

যুক্তরাষ্ট্রের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন দক্ষিণ চীন সাগরের নিকটস্থ জলসীমায় ‘অজ্ঞাত’ বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে। এতে সাবমেরিনটির ১৫ জন নাবিক সামান্য আহত হয়েছেন।

ধাক্কা খাওয়ার পরও যক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস কানেকটিকাট নামের সাবমেরিনটি পুরোপুরি সচল আছে। তবে ধাক্কা খাওয়ায় এর কী ক্ষতি হয়েছে এবং কি কারণে ধাক্কা লেগেছে, কিসের সঙ্গে লেগেছে তা পুরোপুরি যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। সাবমেরিনটি পরে সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌঘাটি গুয়ামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। খবর রয়টার্সের। 

চীনা জলসীমার কাছাকাছি এসে ইউএসএস কানেকটিকাট ‘অজ্ঞাত বস্তুর’ সঙ্গে এমন এক সময়ে ধাক্কা খেল, যখন ওই অঞ্চলকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। তাইওয়ানের আকাশসীমায় একের পর এক চীনা যুদ্ধ বিমানের ‘অনুপ্রবেশের’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনার শুরু হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক তৎপরতাও দৃশ্যমান।

ইউএসএস কানেটিকাটকে দক্ষিণ চীন সাগরের আশেপাশের যে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে, সেটি বিশ্বের অন্যতম বিরোধপূর্ণ এলাকা। চীন দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশের মালিকানা দাবি করে এলেও প্রতিবেশী অনেক দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের তাতে আপত্তি আছে।

ফিলিপিন্স, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে চীনের বিরোধ কয়েক দশকের। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওই অঞ্চলে উত্তেজনাও ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে চীনবিরোধী অংশকে সমর্থন ও কোথাও কোথাও মদদ দিয়ে আসছে। কয়েক সপ্তাহ আগে তারা যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য নতুন একটি নিরাপত্তা জোটও করেছে। এ জোটের ফলে অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পারমাণবিক শক্তিধর সাবমেরিন বানানোর প্রযুক্তি পাবে। অকাস নামের এই জোট যে চীনকে আটকাতে, তা সবার কাছেই পরিষ্কার।

এর জবাবে তাইওয়ানের আকাশসীমায় কয়েকডজন যুদ্ধবিমান উড়িয়ে বেইজিং তার নিজের জোর দেখিয়েছে, ধারণা বিশ্লেষকদের।

এদিকে চীনের এমন আচরণের জবাবে, গত বুধবার (৬ অক্টোবর) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, চীন ২০২৫ সালের মধ্যে পুরোদস্তুর আগ্রাসন চালানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ দাবি করে আসছে। অন্যদিকে চীন স্বশাসিত দ্বীপটিকে ‘বিচ্ছিন্ন প্রদেশ’ হিসেবে বিবেচনা করে।

কোনো না কোনো একদিন দুটি ভূখণ্ড ফের একত্রিত হবে বলেও প্রত্যাশা বেইজিংয়ের। এজন্য প্রয়োজন পড়লে বল প্রয়োগ করার হুমকিও দিয়ে রেখেছে তারা।

Link copied!