মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কারেন প্রদেশের বিদ্রোহীদের আস্তানায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এর আগে এ অঞ্চলের সেনা সদস্যদের ওপর হামলা করে সেনাঘাঁটি দখলে নেয় আদিবাসী এই গেরিলারা। অন্যদিকে মিয়ানমারজুড়ে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) মিয়ানমারের কারেন প্রদেশে সেনাঘাঁটিতে আক্রমণ চালায় কারেন প্রদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সশস্ত্র ইউনিট কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি।
বিদ্রোহীদের হামলার পরপরই ওই এলাকায় বিমান হামলা চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। বোমা দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বিদ্রোহীদের আস্তানা। পাল্টাপাল্টি হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহতের খবর জানিয়েছে গণমাধ্যম। মঙ্গলবারের গেরিলা হামলাকে এ যাবৎকালে সবচেয়ে বড় হামলা আখ্যা দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমসমূহ।
বার্তা সংস্থা এপির প্রকাশিত এক ভিডিওতে, সেনাঘাঁটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। কারেন প্রদেশের বিদ্রোহী আদিবাসী সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের মুখপাত্র জানান, সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তারা।
ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচিকে মুক্তি ও সেনা অভ্যুত্থানের জবাবে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী বিদ্রোহী অধ্যুষিত মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানোর কথা জানানো হয়। আগে থেকেই অঞ্চলটিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকলেও গত পহেলা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তা বাহিনীর আরো সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চলেও সেনাবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সেনা সরকারকে রুখতে গঠিত ছায়া সরকারের সমর্থনে ইয়াঙ্গুনে সমাবেশ করেন হাজার হাজার মানুষ। দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং লাইংয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে তিন আঙ্গুলে স্যালুট দিয়ে প্রতিবাদ জানান তারা।
সূত্র: রয়টার্স।