সরকারি চাকরিতে কোটা বহালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা (status quo) দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আদালতের জারি করা স্থিতাবস্থা হল ঐ আদালত কর্তৃক কোনও আইনি আদেশ, যা তার অধীনস্ত আদালতের কোনও রায় বা আদেশের বাস্তবায়ন অস্থায়ীভাবে বন্ধ বা স্থগিত করে।
আরও পড়ুন: কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা
এই ধরণের আদেশ মূলত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য জারি করা হয় যতক্ষণ না আপিল বা অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
স্থিতাবস্থা একটি পক্ষকে কিছু পদক্ষেপ নিতে বাধা দিতে পারে, যেমন একটি রায় কার্যকর করা বা আইনি পদক্ষেপের সাথে এগিয়ে যাওয়া, যতক্ষণ না আদালত বিষয়টি পর্যালোচনা করার সুযোগ পায়।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ, পূর্বের দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের ওপর আপীল শুনানির পর এই আদেশ দেন।
আপিল বিভাগ বলেছেন, চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা দেওয়া হলো। আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী দিন রাখা হলো।
আরও পড়ুন: আদেশ প্রত্যাখ্যান: আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, “আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। অর্থাৎ, যেমন আছে, তেমন থাকবে। কোটা বাতিল-সংক্রান্ত ২০১৮ সালের পরিপত্রের ভিত্তিতে যে সব সার্কুলার দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কোটা থাকছে না।”