ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ১১:৪০ এএম
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লাউবেখারের সাথে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় সহকারী দেশ। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। র্যাবের স্যাংশন প্রত্যাহার নিয়ে কথা হয়েছে। তারা বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর যে চিঠি সেটার মূল কপি দেয়া হয়েছে।
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে; যা বাংলাদেশ অনুসরণ করবে; যাতে ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে পারে। তারা আজ আমাদের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে। তারা র্যাবকে বিস্তারিত জানাবে। বিস্তারিত পেলে আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম দণ্ডিত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। জবাবে মার্কিন পক্ষ বলেছে যে, চৌধুরীকে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। তারা (মার্কিন) আমাদের সাথে একমত যে, রোহিঙ্গাদের সব নাগরিক অধিকারসহ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই সংকটের একমাত্র সমাধান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মিউনিখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠক নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের (মার্কিন) জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে, আমাদের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়েছি।
এর আগে রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী এলিন লাউবাকের নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার।