সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম
অবশেষে ভেঙেই গেল রাজ-পরীর সংসার। সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে গেল তাদের। রাজের সঙ্গে তার একসঙ্গে পথচলা দেড় বছরের বেশি স্থায়ী হলোনা। ঢালিউডের আলোচিত এই জুটির দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা ঘটনা আলোচনায় এসেছে। কখনো বিদ্যা সিনহা মিম, কখনো সুনেরাহ বিনতে কামালসহ কয়েকজনের সঙ্গে রাজের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন পরীমণি।
আপাতত এসব বিতর্কের ইতি ঘটে গেল। যদিও রাজ জানিয়েছেন তিনি এখনও ডিভোর্স লেটার পাননি। তবে পরীমণি নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি রাজকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছেন।
তবে জানাগেল কাজী অফিস থেকে এক যুবক নাকি রাজের ভাই পরিচয়ে সেই চিঠি ও বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে জানতে রাজকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গেল ১৮ সেপ্টেম্বর রাজের দেশের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঠিকানায় পরীমণি বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। ডিভোর্স লেটারে পরীর পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে- পরীমনি চার কারণে রাজকে ডিভোর্স দিতে চান। কারণগুলো হলো- মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া ও মানসিক অশান্তি।
ডিভোর্সের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে বুধবার সন্ধ্যার পর কাজী আবু সাইদ বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর আমাদের সঙ্গে পরীর পক্ষের লোকজন যোগাযোগ করেন। লেটারে উল্লিখিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর পরীমণির আইনজীবীর গুলশান অফিসে ডিভোর্স হয়েছে।
সেখানে আমার সহকারী আলী আশরাফ উপস্থিত ছিলেন। পর দিন ১৮ সেপ্টেম্বর উত্তর বাড্ডার আলীর মোড়ে সাতারকুল রোডের আমার অফিস থেকে ডিভোর্স লেটার রেজিস্ট্রি করা হয়। ওই দিনই দুপুর ১২টার দিকে রাজের গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছি।
কাজী আরও বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পরপর তিন মাস এই চিঠি পাঠানো হবে। যদি রাজ এই চিঠি গ্রহণ না করেন, তাহলে ৯০ দিন পর তাদের ডিভোর্স হয়ে যাবে। আর যদি তিন মাসের মধ্যে তাদের আবার বনিবনা হয়, নিজেদের মধ্যে একটা সমাধান হয়, তাহলে আবারো তারা সংসার করতে পারবেন। তিনি বলেন, শুনেছি রাজ খবরটি জানতেন না। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজের ভাইয়ের পরিচয়ে একজন আমার অফিসে এসেছিলেন। তিনি কাবিননামার কপি ও ডিভোর্স সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে গেছেন।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে আনেন ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে।