অস্কার ২০২৫: প্রেমের সিনেমা ‘আনোরার’ জয়জয়কার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ৩, ২০২৫, ১২:৪১ পিএম

অস্কার ২০২৫: প্রেমের সিনেমা ‘আনোরার’ জয়জয়কার

ছবি: সংগৃহীত

আলোচনায় শেষ মুহূর্তে এগিয়ে আসা ‘আনোরা’ চলচ্চিত্রের ঝড় উঠল অস্কার মঞ্চে; প্রেম, নারীর সামাজিক অবস্থান এবং সাংস্কৃতিক সংঘাতের প্রতিচ্ছবির সিনেমা ‘আনোরা’ জিতে নিয়েছে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ৯৭তম আসরে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার।

সেরা সিনেমা, সেরা নির্মাতা, সেরা অভিনেত্রী, মৌলিক চিত্রনাট্য এবং সেরা সম্পাদনাসহ মোট পাঁচটি অস্কার জিতে নিয়েছে ‘আনোরা’; মনোনয়নে ছয় শাখায় নাম ছিল পরিচালক শন বেকারের এই সিনেমাটি।

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে রোববার সন্ধ্যায় অস্কারের জমকালো আসরে সেরা এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

‘আনোরা’ সিনেমা পরিচালনার জন্য নির্মাতা শন বেকার পেয়েছেন সেরা পরিচালকের পুরুস্কার; সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন ‘আনোরা’ সিনেমায় অভিনয় করা মাত্র ২৫ বছর বয়সী মাইকি ম্যাডিসন।

দ্য ব্রুটালিস্ট’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অভিনেতার পুরস্কার জিতছেন অভিনেতা অ্যড্রিয়েন ব্রডি।

এছাড়া পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন কিইরিন কালকেইন এবং পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন জোয়ি সালডানা।

সোনালী ট্রফি হাতে নিয়ে ‘আনোরা’ নির্মাতা শন বেকার স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে অ্যাকাডেমিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, “স্বাধীন চলচ্চিত্র দীর্ঘজীবী হোক।”

আনোরার’ অভিনেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বেকার বলেন, “তারা আমাকে সমৃদ্ধ” করেছেন।

চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অস্কার পাওয়ার আনন্দ যৌনকর্মীদের প্রতি ভাগ করে নিতে চান জানিয়ে বেকার বলেন বলেন, “আমি যৌনকর্মী সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা তাদের গল্প এবং জীবনের অভিজ্ঞতা আমার সাথে ভাগ করে নিয়েছে। আমার গভীর শ্রদ্ধা, আপনাদের প্রতি এবং ধন্যবাদ।”

‘আনোরা’ সিনেমায় কুখ্যাত রাশিয়ান গ্যাংস্টারের ছেলে এক যৌনকর্মীর প্রেমে পড়ে। দুজন বিয়ে করে; কিন্তু সেই গ্যাংস্টার বিয়ে মেনে নেয় না। এমন গল্প নিয়ে শন বেকারের সিনেমা ‘আনোরা’। গত বছর কান উৎসবে স্বর্ণপাম জেতা সিনেমাটি আদতে নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনের বাস্তবতা আর তাদের স্বপ্নের টানাপোড়েনের গল্প।

শন বেকার ‘আনোরা’ সিনেমায় প্রচুন যৌনদৃশ্য রেখেছেন। সিনেমায় ম্যাডিসন হয়েছেন একজন যৌনকর্মী, যার সম্পর্ক হয় রাশিয়ান এক বিলিওনিয়ারের ছেলের সঙ্গে। সিনেমার যৌনদৃশ্যের দৃশ্যধারণের সময় সাধারণ প্রশিক্ষিতদের সঙ্গে রাখা হয়, যারা অভিনয়শিল্পীদের অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ে সহজ হতে সহযোগিতা করেন।

তাদের বলা হয় ‘ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটর’। ‘আনোরার’ ওই ধরনের দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় ম্যাডিসন কোনো ‘ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটর’ রাখেননি বলে জানিয়েছেন।

‘আমি সবটা একাই সামাল দিয়েছি’, বলেছিলেন ম্যাডিসন। তার এই মন্তব্যের সমালোচনা এসেছে। তরুণী অভিনেত্রীকে নিয়ে সমালোচকদের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফলে অস্কার দৌড়ে তিনি কতটুকু এগুতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল।

তবে সব সমালোচনায় ও সংশয়ে সিলমোহর দিয়ে ‘আনোরাই’ কেবল জেতেনেই, জিতে গেলেন বেকার ও তরুণ অভিনেত্রী ম্যাডিসনও।

এক হাতে পুরস্কার এবং অন্য হাতে ছোট্ট একটি কাগজের টুকরো হাতে হাতে নিয়ে মঞ্চে মাইক্রোফোনের সামনে যখন হাজির হন ম্যাডিসন, তখন তা চোখে অশ্রু, ধরে এসেছিল গলা।

“এটি পরাবাস্তব, যা ঘটছে তা পরাবাস্তব।”

এরপর কাগজের টুকরো থেকে একে একে নাম পড়তে থাকেন, যারা সবাই ‘আনোরার’ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট । তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে অ্যাকাডেমির প্রতি কৃতজ্ঞতা রেখে ম্যাডিসন বলেন, “যৌন সম্প্রদায়ের প্রতি স্বীকৃতি ও সম্মান চেয়েছিলাম।”

ব্র্যাডি করবেট পরিচালিত ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’; শরণার্থীর জীবনের সংগ্রাম, তাদের স্বপ্ন, লড়াই ও নৈতিকতার টানাপোড়েনের গল্পে এগিয়ে গেছে। এই সিনেমায় হাঙ্গেরির গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া এক তরুণ স্থপতি মূল চরিত্র, তার নাম লাভি। লাভির চরিত্রটি করেছেন অস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতা অ্যড্রিয়েন ব্রডি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অস্কার জিতলেন ব্রডি।

সিনেমায় লাভি সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তার ‘আমেরিকান ড্রিম’ বাস্তবায়ন করতে চায়। কিন্তু লাভির এই পরিচয় তৈরির পথটা জটিলতায় পূর্ণ। এই পথটা সহজ করতে হলে তার নৈতিকতা বিসর্জন দিতে হবে। যা দিতে নারাজ লাভি। সিনেমার গল্পে শরণার্থীর জীবনের সংগ্রাম, তাদের স্বপ্ন, লড়াই ও নৈতিকতার দিকটি তুলে ধরেছেন নির্মাতা করবেট

অভিনেতা হিসেবে অ্যড্রিয়েন ব্রডির ক্যারিয়ারে নতুন বাঁকবদল এনে দিয়েছে ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’। ২০০২ সালে ‘দ্য পিয়ানিস্ট’ সিনেমার জন্য ২৯ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে অস্কার জিতেছিলেন ব্রডি। পরের এতগুলো বছরে বলার মত তেমন কোনো কাজ নেই ব্রডির। ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ দিয়ে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতা ব্রডির জন্যও তাই দুর্দান্ত ফেরা।

পুরস্কার হাতে নিয়ে ব্রডি বলেছেন, তিনি একটি সুন্দর শান্তিময় পৃথিবীর প্রার্থনা করেন।

অভিনয় ও কর্মজীবনের প্রতি প্রার্থনা করে ব্রডি বলেন, “আমি যুদ্ধ, নীপিড়ন, ইহুদী বিদ্বেষী মনোভাব এবং বর্ণবাদের কারণে তৈরি হও দীর্ঘস্থায়ী ট্রমা বিরুদ্বে প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি। অতীত আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, ঘৃণা থেকে কিছু শেখা যায় না।”

‘দ্য ব্রুটালিস্টের’ জন্য গোল্ডেন গ্লোবেও সেরা অভিনেতা হয়েছেন তিনি। অস্কারে ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ সেরা নির্মাতা, সেরা অভিনেতার মত গুরুত্বপূর্ণ শাখাসহ মনোনয়ন পেয়েছিল ১০ শাখায়।

ব্যক্তিজীবনে ব্রডির এবং দাদা-দাদি ১৯৫০ এর দশকে হাঙ্গেরি ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে!

ব্রডির ভাষ্য, নিজের পারিবারিক ইতিহাসের জন্য ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ তার কাছে ‘একান্তই ব্যক্তিগত’ হিসেবে ধরা দিয়েছে।

‘অ্যা রিয়েল পেইন’ সিনেমায় অভিনয় করে সেরা পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার জিতে নেওয়া কালকেইনের ক্যারিয়ার প্রায় দুই যুগের। তার এই পুরস্কার জেতা অনেকটা অনুমেয়ই ছিল। তবে ব্যক্তি জীবন নিয়ে মাঝে বিপত্তিতে ছিলেন তিনি, তাই অনেক কাজই ফিরিয়ে দিতে হয়েছে মাঝে। বলা হচ্ছে ‘অ্যা রিয়েল পেইন’ দিয়ে কালকেইন ফিরেছেন কক্ষপথে।

তিনি সিনেমার লেখক এবং পরিচালক জেসি আইজেনবার্গকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এই সিনেমার জন্য ধন্যবাদ, তুমি একজন প্রতিভা।”

কালকেইন সেরা পার্শ্ব চরিত্রের শাখায় মনোনীয় সহঅভিনেতা জেরেমি স্ট্রংসহ অন্যান্যদের ভালোবাসা জানিয়েছেন।

জ্যাক অঁদিয়ারের ‘এমিলিয়া পেরেজে’ সিনেমার জোয়ি সালদানা আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়া এক অভিনেত্রী।

হাতে অস্কারের ট্রফি নিয়ে পরিবারকে অস্কার উৎসর্গ করেন সালদানা। নিজেকে অভিবাসীর সন্তান গর্বিত বলে বর্ণনা করেছেন এই অভিনেত্রী।

তিনি বলেন, “আমি গর্বিত এবং অভিভূত। নারীর নীরব বীরত্ব এবং শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একাডেমিকে ধন্যবাদ।

“আমি আমি অভিবাসী বাবা-মায়ের একজন গর্বিত সন্তান, এবং আমি ডোমিনিকান বংশোদ্ভূত প্রথম আমেরিকান যিনি একাডেমি পুরস্কার গ্রহণ করেছেন, এবং আমি জানি আমিই শেষ হব না।”

এবারে অস্কারে সেরা সিনেমা, সেরা পরিচালক ও সেরা অভিনেত্রীসহ ১৩ শাখায় মনোনয়ন পেয়ে সবচেয়ে আলোচনায় ছিল ‘এমিলিয়া পেরেজ’। নির্মাতা জ্যাক অঁদিয়ার স্প্যানিশ ভাষায় এই সিনেমাটি বানিয়েছেন। মেক্সিকোর চার প্রতিষ্ঠিত নারীর গল্পে বোনা হয়েছে সিনেমার চিত্রনাট্য।

প্রথম ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে কার্লা সোফিয়া গ্যাসকন ‘এমিলিয়া পেরেজ’ সিনেমায় সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়ে ইতিহাসও গড়েন। কিন্তু অস্কারের প্রচার শুরু হওয়ার পর গ্যাসকনের বছর দুই আগের ইসলামবিরোধী পোস্ট সামনে আসায়, তিনি বিতর্কিত হয়েছেন। ওই সব পোস্টের জন্য গ্যানসক ক্ষমা চাইলেও অনেকটা একঘরে হয়ে পড়েন প্রচার কাজের সময়।

প্রথমবারের মতো অস্কার সঞ্চালনা করলেন যুক্তরাষ্ট্রের কমেডিয়ান কোনান ও’ব্রায়েন। এবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০০টির বেশি দেশে ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হুলুতে সরাসরি দেখানো হয়েছে অস্কারের জমকালো এই অনুষ্ঠানটি।

এবারের অস্কারের কথা বললে শুরুতেই আসে জানুয়ারি মাসে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের ভয়াবহ দাবানলের কথা। আগুনের গ্রাস থেকে শহরকে বাঁচিয়ে ডলবি থিয়েটার হলকে আলোয় আলোকিত করাটাই ছিল অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ উতরে অনুষ্ঠান সফল করেছে অ্যাকাডেমি।

পুরস্কার ঘোষণার পরে লস অ্যাঞ্জেলেস অগ্নিনির্বাপকদের একটি দলকে তাদের কাজের স্বীকৃতি জানাতে মঞ্চে ডেনে নেওয়া হয়। যারা জীবন বাজি করে ভয়াবহ সেই আগুন নিভিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসকে ফিরিয়ে দেয় একটি নিরাপদ শহরে চেহারায় সেই কর্মীদের দাঁড়িয়ে জানানো হয় অভিবাদন। সমস্ত হল ফেটে পড়ে করতালির শব্দে।

এর আগে দেখা গেছে সিনেমা সংক্রান্ত বিভিন্ন অ্যওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ফলাফলের ভিত্তিতে কার হাতে অস্কারের ট্রফি উঠতে পারে সে বিষয়ে একটি ধারণা হয়েই যায়। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন হয়েছে অভিনেত্রী-অভিনেতাদের বিভিন্ন বিতর্কিত এবং আলোচিত কর্মকাণ্ডে।শুরু থেকেই বলা হচ্ছিল এবারের অস্কার বিতর্কিত এবং অপ্রত্যাশিত বছর।

পুরস্কার ঘোষণার পর দেখা গেছে সিনেমা সমালোচকদের ধারণা হয়েছে সত্যিই। মনোনয়নে সেরা সিনেমা, সেরা পরিচালক ও সেরা অভিনেত্রীসহ ১৩ শাখায় মনোনয়ন পেয়ে ‘এমিলিয়া পেরেজ’ বাজিমাত করে, তারও আগে জিতে নেয় ‘গোল্ডেন গ্লোব’। এছাড়া প্রথম ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে কার্লা সোফিয়া গ্যাসকন ‘এমিলিয়া পেরেজ’ সিনেমায় সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়ে ইতিহাসও গড়েন। কিন্তু অস্কারের প্রচার শুরু হওয়ার পর গ্যাসকনের বছর দুই আগের ইসলামবিরোধী পোস্ট সামনে আসায়, তিনি বিতর্কিত হয়েছেন। যা এই সিনেমাকে অস্কার প্রাপ্তি থেকে দূরে ঠেলেছে।

সেরা নির্মাতা, সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী, পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেতার এই গুরুত্বপূর্ণ ৪ শাখার কোনোটিতেই নাম নেই ‘এমিলিয়া পেরেজের’; সিনেমাটি অস্কার জিতেছে সেরা অভিনেত্রী এবং সেরা মৌলিক গানের শাখায়।

জয়ের হাসি হাসল যারা

সেরা সিনেমা: আনোরা

সেরা অভিনেত্রী: মাইকি ম্যাডিসন (আনোরা)

সেরা অভিনেতা: অ্যড্রিয়েন ব্রডি (দ্য ব্রুটালিস্ট)

সেরা পরিচালক: শন বেকার (আনোরা)

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী: জোয়ি সালদানা (এমিলিয়া পেরেজ)

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা: কিইরিন কালকেইন (আ রিয়েল পেইন)

সেরা রূপান্তরিত চিত্রনাট্য: কনক্লেভ (পিটার স্ট্রন)

সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য: আনোরা (শন বেকার)

সেরা মৌলিক গান: এল মাল (এমিলিয়া পেরেজ)

সেরা মৌলিক সুর: দ্য ব্রুটালিস্ট

সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম: নো আদার ল্যান্ড

সেরা অ্যানিমেটেড ফিচার ফিল্ম: ফ্লো

সেরা প্রামাণ্যচিত্র: নো আদার ল্যান্ড

সেরা পোশাক পরিকল্পনা: উইকেড

সেরা রূপসজ্জা ও কেশসজ্জা: দ্য সাবস্ট্যান্স

সেরা শিল্প নির্দেশনা: উইকেড

সেরা শব্দগ্রহণ: ডুন:পার্ট টু

সেরা সম্পাদনা: আনোরা

সেরা চিত্রগ্রহণ: দ্য ব্রুটালিস্ট

সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টসব: ডুন: পার্ট টু

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য: আই অ্যাম নট আ রোবট

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য: ইন দ্য শ্যাডো অব ত্যা সাইপ্রেস

Link copied!