স্ত্রী না থাকলেই সাকলাইনের বাসায় আসতেন পরী মণি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২৫, ২০২৪, ০৩:০০ পিএম

স্ত্রী না থাকলেই সাকলাইনের বাসায় আসতেন পরী মণি

ছবি: সংগৃহীত

পূর্বপরিকল্পনা করে এডিসি সাকলাইন ঢাকাই চিত্রনায়িকা পরী মণির সঙ্গে সময় কাটাতেন। যখনই তার স্ত্রী বাসায় থাকতেন না তখনই রাজারবাগ পুলিশ কোয়ার্টার্সে সাকলাইনের বাসায় পরী মণি দিনরাত অবস্থান করতো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের চিঠিতে এসব বিষয় উঠে আসে।

এদিকে এমন ঘটনা নিয়ে খোদ পরী মণি দিয়েছেন একটি স্ট্যাটাস। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘বাই বাই রাসেলস ভাইপার, ওয়েলকাম পরী মণি’। তবে সাকলাইনের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তার সাড়া মেলেনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে পরবর্তী ১ মাসে সাকলায়েন দিনরাতে নায়িকা পরীমনির বাসায় অবস্থান করে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে তুলেছে।

ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে ও সাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ী প্রতীয়মান হয় যে সাকলায়েনের পূর্বপরিকল্পনা ও সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারে তার স্ত্রী অনুপস্থিতিতে চিত্রনায়িকা পরী মণি তার রাজারবাগের সরকারি বাসভবনে (সাকলায়েন) যান। সেখানে প্রায় ১৭ ঘণ্টা অবস্থান করে ২০২১ সালের ২ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে পরী মণি সেই বাসা ছাড়েন।

সাকলায়েন বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। এরপরও পরী মণির সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, পরী মণির সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবনে নিজের স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে কাটানোর ঘটনা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

সাকলাইনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় কারণ দর্শানোর জবাব সন্তেষজনক হয়নি। এর ফলে  মো. গোলাম সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত চেয়েছে তারা।

আরও পড়ুন: চাকরি হারালেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা

২০২১ সালের ৯ জুন রাতে সাভার থানার ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৪ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন পরী মণি। সেই মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ছিলেন সাকলায়েন। চিত্রনায়িকা পরী মণির সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ ওঠার পর তাকে বদলি করা হয়েছিল ও তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল।

পরী মণির বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৮ জুলাই নাসির উদ্দিন মাহমুদ হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। ২০২১ সালের ৪ আগস্ট পরী মণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। পরবর্তীতে তাকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় ৩ দফায় মোট সাতদিন তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর ১ সেপ্টেম্বর পরী মণি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন।

Link copied!