অস্কার অনুষ্ঠানে উপস্থাপক ক্রিস রককে চড় মারার পর উইল স্মিথ তার আচরণ ‘অগ্রহণযোগ্য এবং অমার্জনীয়’ বলে ক্ষমা চেয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার ইনস্টাগ্রামে স্মিথ লিখেছেন, “আমি প্রকাশ্যে আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি, ক্রিস। আমি সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিলাম এবং আমি ভুল করেছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ৯৪তম আসর। এবারের অস্কারে ‘কিং রিচার্ড’ ছবির রিচার্ড উইলিয়ামস চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন উইল স্মিথ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন কমেডিয়ান ক্রিস রক।
তবে অস্কারের মঞ্চে তুলকালাম কাণ্ড ঘটান উইল স্মিথ। তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে চটুল রসিকতার ‘শাস্তি’ হিসেবে মঞ্চে উঠে গিয়ে সঞ্চালক তথা কমেডিয়ান ক্রিস রককে সপাটে একটি চড় মারেন স্মিথ। তার এই আচারণের জন্য এ বার ক্রিস রক এবং অস্কার কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চাইলেন অস্কার জয়ী অভিনেতা।
ইনস্টাগ্রামে স্মিথ লিখেছেন, “আমি প্রকাশ্যে আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি ক্রিস। আমি সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিলাম এবং আমি ভুল করেছি। আমার কর্মকাণ্ডের জন্য আমি লজ্জিত। আমি যে ধরনের মানুষ হতে চাই, এটা তার পরিচয় নয়।”
স্মিথ আরও লিখেছেন, ‘হিংসা মাত্রই ক্ষতিকারক এবং ধ্বংসাত্মক। গত রাতের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে আমার আচরণ গ্রহণযোগ্য ছিল না, ক্ষমাহীন অপরাধ করেছি। কৌতুক আমাদের পেশার অংশ। কিন্তু জাডার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মজা করা আমার পক্ষে সহ্য কঠিন ছিল এবং আমি আবেগপ্রবণ হয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম, যা ঠিক হয়নি।’
স্মিথ আরও লিখছেন, “আমার এই ব্যবহার বিশ্ব জুড়ে যারা দেখেছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি । ক্ষমাপ্রার্থী অ্যাকাডেমি, অনুষ্ঠানের প্রযোজক এবং সব অংশগ্রহণকারীর কাছে। উইলিয়ামস পরিবার এবং কিং রিচার্ড পরিবারের কাছেও অপরাধ কবুল করছি। অস্কারের আলোকজ্জ্বল মঞ্চে আমার এ হেন আচারণ একটি দাগ ফেলে গিয়েছে। যা ক্ষমাহীন অপরাধ।”
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠান উপস্থাপনার ফাঁকে ফাঁকে রসিকতা করছিলেন সঞ্চালক ক্রিস। একপর্যায়ে স্মিথের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেটকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমি জি আই জেন-এর সিক্যুয়েলের অপেক্ষায় রয়েছি।’ তার এমন রসিকতায় বেশ চটে যান স্মিথ। অভিনেতা নিজের আসন ছেড়ে মঞ্চে গিয়ে সঞ্চালকের গালে সজোরে এক থাপ্পড় বসিয়ে দেন। তবুও স্মিথের রাগ কমেনি। নিজের আসন থেকে চিৎকার করে বলে, ‘তোমার এসব নোংরা কথা থেকে আমার স্ত্রীকে দূরে রাখো।’
১৯৯৭ সালের ‘জি আই জেন’ সিনেমার নায়িকার মাথায় চুল কম থাকা নিয়ে সে সময় বেশ চর্চা হয়েছিল। স্মিথের স্ত্রী জাডার মাথাতেও চুল কম। আর এজন্যই রসিকতা করে তাকে ‘জি আই জেন ২’-এর নায়িকা হিসেবে ইঙ্গিত করেন সঞ্চালক ক্রিস।
অ্যালোপেশিয়া রোগে আক্রান্ত জাডা। এই রোগের হলে মাথার চুল পড়ে যায়। স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে রসিকতা মানতে পারেননি স্মিথ। আর তাই তিনি মেজাজ হারান।