প্রযুক্তিকে হার মানিয়েছেন বাংলাদেশের আম্পায়ার

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী

অক্টোবর ১০, ২০২৩, ০৩:২২ পিএম

প্রযুক্তিকে হার মানিয়েছেন বাংলাদেশের আম্পায়ার

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বকাপের মাঠ এবার শুধু খেলোয়াড় নয় কাঁপাচ্ছে আম্পায়ারও। আর এতই অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছেন বাংলাদেশের আম্পায়ার, যিনি কি না প্রযুক্তির বিপরীতে গিয়ে সঠিক উত্তর দিতে পেরেছেন। বলছি আম্পায়ার সৈকতের কথা।

গত ৯ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে এবারের আসরে লিগ পর্বের জন্য ১৬ সদস্যের আম্পায়ার প্যানেল ঘোষণা করে আইসিসি। এলিট প্যানেলের বারো আম্পায়ারের বাইরে চারজনের মধ্যে আছেন শরফদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। 

দেশের ক্রিকেটে নাম কুড়িয়ে এবার পাড়ি দিয়েছেন আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপে। শরফদ্দৌলা অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের শীর্ষ আম্পায়ার। দেশি আম্পায়ারদের সর্বোচ্চ ৯ টেস্ট, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ ওয়ানডে এবং সর্বোচ্চ ৪৩টি টি -টোয়েন্টি মাঠে (অন ফিল্ড আম্পায়ার) দায়িত্ব পালন করেছেন। 

তবে কেন আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি প্রমাণ দেখিয়েছেন প্রথম অন ফিল্ডেই।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, সেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে হারিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁর দক্ষতা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে চতুর্থ বল এ প্রোটিয়া অধিনায়ক টিম্বো বাভুমা, লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। লঙ্কান বাঁহাতি পেসার দিলশান মাদুশানকার লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন টিম্বো বাভুমাকে। 

নিজের আত্মবিশ্বাস থেকেই আঙুল উঁচিয়ে দেন লঙ্কান পেসারের আবেদনে। ব্যাটার রিভিউ নিলেও ব্যর্থ হয় প্রোটিয়াদের রিভিউ, বহাল রাখা হয় সৈকতের সিদ্ধান্ত। ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে অবশ্য চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তবে এবার প্রথম ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন তিনি। তবে চলতি বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে আরও চারটি ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দেখা যাবে সৈকতকে। আগামী ২৮ অক্টোবর ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড হাই ভোল্টেজ ম্যাচ পরিচালনা করবেন তিনি।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় আম্পায়ার হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে আইসিসি ঘোষিত আম্পায়ারিং প্যানেলে সুযোগ পেয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। ২০১১ সালে উপমহাদেশের মাটিতে আয়োজিত সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আম্পায়ারিং প্যানেলে ছিলেন বাংলাদেশি আম্পায়ার এনামুল হক। তবে সেই আসরে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচে রিজার্ভ আম্পায়ার হিসেবে থাকলেও কোনো ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পাননি সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার।

শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩টি টেস্ট, ৮৫টি ওয়ানডে এবং ৫৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। 

পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ১০০টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। 

এছাড়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং পুরুষদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।

Link copied!