মার্চ ১৯, ২০২২, ০৮:২৮ পিএম
চলতি বছর সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের পর বাতিল হওয়া মো. আমির হামজার কর্ম নিয়ে যারা ভুল তথ্য দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শনিবার সকালে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “এ ঘটনায় যারা ভুল তথ্য দিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জড়িতদের শোকজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমির হামজাকে কেন পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হলো, সে বিষয়ে ব্যাখা চাইতে কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত মনোনীত করে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় অচেনা আমির হামজাকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাহিত্য অঙ্গনে তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হহয়।
এসব বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে গতকাল শুক্রবার আমির হামজাকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কারের নতুন তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আমির হামজা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মাগুরার শ্রীপুরে গড়ে ওঠা শ্রীপুর বাহিনীর একজন সদস্য। তার উল্লেখযোগ্য তিনটি বই হচ্ছে ‘বাঘের থাবা’, ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব’ এবং ‘একুশের পাঁচালি’। তার এই তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে ২০১৮, ২০২০ এবং ২০২১ সালে।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরিশাট গ্রামের বাসিন্দা আমির হামজা পালাগানের শিল্পী এবং কবি হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৮ সালে (গরু খেতের ফসল খেয়ে ফেলে) মো. শাহাদাত হোসেন নামে এক ব্যক্তি খুন হন। আমির হামজা ওই মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। আট বছর জেল খাটার পর ১৯৯১ সালের মাগুরার এক মন্ত্রীর সহায়তায় তিনি বেরিয়ে আসেন। সর্বশেষ ২০০৭ সালেও গ্রামের একটি সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি আসামি ছিলেন।
সচিবালয়ের একটি সূত্র জানায়, মূলত সরকারের উপসচিব মো. আসাদুজ্জামান তার সাহিত্যিক বাবার (আমির হামজা) নাম স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ওই প্রস্তাবে সমর্থন দেন।