ফলোআপ চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ভর্তির পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক বোর্ডের পরামর্শ মতো তাকে সিসিইউ কেবিনে রাখা হয়েছে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির নেতা বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) অসুস্থ। মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকদের অধীনে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শনিবার রাতেই তাকে সিসিইউ সুবিধা সম্বলিত কেবিনে রাখা হয়েছে
এদিকে, হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কপি করা হয়। পরে রাতেই তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।এর আগে, শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১২ অক্টোবর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর গত ৭ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত, চোখের প্রদাহ, হৃদরোগসহ বয়সজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৫ অক্টোবর ২৫ অক্টোবর শরীরের টিউমার ধরা পড়ায় খালেদা জিয়ার বায়োপসি করা হয়।ওইসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার বায়োপসি রিপোর্টে ক্যান্সারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনার কারণে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এখন পর্যন্ত চারবার খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় বাড়ানো হয়েছে।