নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেল সরবরাহ অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৩১, ২০২২, ০৯:৫২ পিএম

নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেল সরবরাহ অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেল সরবরাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা বলেন।

নাটোর-১ আসনের এমপি মো. শহিদুল ইসলাম বকুলের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, “জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিদেশ থেকে তেল সংগ্রহের জন্য ছয় মাসভিত্তিক চুক্তি হয়ে থাকে। বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মজুতকৃত জ্বালানি তেল দিয়ে ৩০-৩৫ দিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। এই সময়ের মধ্যে জ্বালানি তেল নিয়ে দুটি জাহাজ দেশে এসে পৌঁছাবে। অর্থাৎ নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশে জ্বালানি তেল সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।’

জ্বালানি তেল মজুতের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত দেশে জ্বালানি তেলের মজুতের পরিমাণ পরিশোধিত ৬ লাখ ২০ হাজার ১৪৮ মেট্রিক টন, অপরিশোধিত ৮১ হাজার ৮৪৬ মেট্রিক টন। মোট ৭ লাখ ১ হাজার ৯৯৪ মেট্রিক টন “

সংসদ নেতা বলেন, “বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) দেশের চাহিদা পূরণের লক্ষে পরিশোধিত জ্বালানি তেল হিসেবে ডিজেল, জেট ফুয়েল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল ও মেরিন ফুয়েল এবং অপরিশোধিত জ্বালানি তেল হিসেবে এরাবিয়ান লাইট ক্রুড ও মারবান ক্রুড অয়েল আমদানি করে থাকে।”

তেল আমদানি অব্যাহত রাখতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে সংসদ নেতা বলেন, জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখার লক্ষে চাহিদা বিবেচনায় চলতি আগস্ট মাসে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, ৫০ হাজার মেট্রিক টন জেট ফুয়েল, ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন অকটেন এবং সেপ্টেম্বরে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল, ২০ হাজার মেট্রিক টন জেট ফুয়েল, ৫০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল ও ২৫ হাজার মেট্রিক টন অকটেন আমদানির সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বর্ধিত চাহিদা বিবেচনায় আগস্ট মাসে আরও ২৫ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল এবং সেপ্টেম্বর মাসে আরও ২৫ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল ও ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল সরবরাহের জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

জ্বালানি সংকটের কারণ উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। জুলাই মাসে ক্রুড অয়েলের মূল্য ব্যারেল প্রতি সর্বোচ্চ ১১৭ দশমিক ৪৮ মার্কিন ডলার অতিক্রম করে।”

Link copied!