যেসব পত্রিকা ডিক্লারেশন নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে না সেগুলোকে ‘ব্রিফকেসবন্দি’ পত্রিকা অভিহিত করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্রিফকেসবন্দী ২১০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।করোনাকালে ছাঁটাইকৃত সাংবাদিকদের চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য পত্রিকার মালিকদের প্রতি অনুরোধও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাজশাহী বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২১০টি পত্রিকা, মূলত ব্রিফকেসবন্দী; যেগুলো আসলে ছাপা হয় না, মাঝেমধ্যে হঠাৎ ছাপানো হয়; পত্রিকাগুলো আমি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ২১০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে।’
সংবাদপত্র সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘ডিক্লারেশন নিয়ে তারা পত্রিকা চালায় না, বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য পত্রিকা ছাপায়। নিউজ প্রিন্টের যে কোটা আছে, সেটা নিয়ে তা বিক্রির জন্য ডিক্লারেশন নিয়েছে। তাদেরটা বাতিল হবে।’
গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। নতুন আরও পত্রিকার ডিক্লারেশন দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
সংবাদপত্রের মালিকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে সব সংবাদপত্র বিপদে পড়েছিল, যার কারণে অনেকেই কর্মী ছাঁটাই করেছেন। আমি তাদের অনুরোধ করবো ছাঁটাইকৃত কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে।
সাংবাদিকদের বিমার আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়ে সংবাদপত্র মালিকদের তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এতে সাংবাদিকরা উপকৃত হবেন এবং মালিকরা তাদের কর্মীদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
বিএনপি ও দলটির মহাসচিবের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে এখন ছেঁড়া কাপড় পরা, স্যান্ডেল ছাড়া মানুষ দেখা যায় না। আকাশ থেকে ঢাকা শহরে কুঁড়েঘর দেখা যায় না। জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই অঅমাদের উন্নয়নের প্রশংসা করে। শুধু মির্জা ফখরুল সাহেবদের এই উন্নয়ন চোখে পড়ে না। তাদের হেডকোয়ার্টার পাকিস্তানও আমাদের থেকে এখন সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।