মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে অর্থের জোগান আরও কমিয়ে নতুন অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে রেপো (পুনঃক্রয় চুক্তি) সুদহার আরও এক দফা বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর ফজলে কবির। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের এটাই শেষ মুদ্রানীতি ঘোষণা। আগামী ৩ জুলাই তার মেয়াদ শেষ হবে জানা গেছে।
গভর্নর ফজলে কবির বলেন, “এবার সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি ভঙ্গি অনুসরণ করা হয়েছে, যা কিছুটা সংকোচনমুখী।”
মহামারীর কারণে মাঝে দুই বছর কোনো আনুষ্ঠানিকতা মুদ্রানীতি প্রকাশ করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে। এবার আবার পুরনো রীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্য়ালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর।
তিনি বলেন, “টাকার অভ্যন্তরীণ বাহ্যিক মান, অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা” হবে নতুন অর্থবছরের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ।
নতুন মুদ্রানীতিতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ যোগানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এজন্য সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ। গত বছর এটি ছিল ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৪.১ শতাংশ গতবার যা ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
সব মিলিয়ে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৮.২ শতাংশ, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ র্নিধারণ করা হয়েছিল। এর অর্থ নতুন অর্থবছরে সরকারি খাতের ওপর ভর করে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।