দশম পণ্য হিসেবে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেয়েছে বাগদা চিংড়ি। সম্প্রতি পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর এ স্বীকৃতি দিয়েছে। সংস্থাটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার বেলাল হোসেন বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “দশম পণ্য হিসেবে ভৌগোলিক নির্দেশক সনদ পেয়েছে বাগদা চিংড়ি। গত ২৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়। আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মৎস্য অধিদফতরের কাছে জিআই সনদ হস্তান্তর করা হবে।”
বেলাল হোসেন আরও বলেন, “এর সঙ্গে ফজলি আমও সনদ পাওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি এখনও শুনানি পর্যায়ে রয়েছে।”
প্রায় ১০০ বছর আগে কালো ডোরাকাটা বাগদা চিংড়ির চাষ শুরু হয় বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায়। গত শতকের সত্তরের দশকের পর বিশ্ববাজারে চাহিদা বাড়তে শুরু করলে বাংলাদেশেও বাগদা চাষের সম্প্রসারণ ঘটে। আশির দশকে বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের তালিকায় যুক্ত হয় এ চিংড়ি।
বিগত ১৯৮৩-৮৪ সালের ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হতো। ২০১৫-১৬ সালে তা বেড়ে ২ লাখ ৭ হাজার হেক্টরে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারে বাগদা চিংড়িকে বাংলাদেশের বিশেষায়িত পণ্য হিসেবে তুলে ধরতে ২০১৯ সালে ৪ জুলাই মাসে মৎস্য অধিদপ্তর জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে যাছাই বাছাই শেষে ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
নিয়ম অনুসারে জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে কেউ আপত্তি না করলে সেই পণ্যের জিআই সনদ দেওয়া হয়। বাগদা চিংড়ির ক্ষেত্রে এ সময়সীমা গেল ৬ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কেউ আপত্তি না করায় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।