সকল জেলায় কফি চাষের সম্ভাবনা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১, ২০২১, ১২:০২ এএম

সকল জেলায় কফি চাষের সম্ভাবনা

দেশের পার্বত্য অঞ্চল ও উত্তরবঙ্গে কফি চাষ শুরু হয়েছে। তবে দেশের সকল জেলাই কফি চাষের উপযোগী বলে জানায় কৃষিবিদরা। দেশের আবহওয়া কফি চাষের উপযোগী। এমনকি বাসার ছাদেও কফি চাষ করা যায়।

সকল জেলায় কফি চাষ সম্ভব

বর্তমানে দেশে পার্বত্য অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি নীলফামারি,দিনাজপুরে কফি চাষ করা হয়। কিন্তু দেশের আবহাওয়া কফি চাষের উপযোগী বিধায় সর্বত্র কফি চাষ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে পটুয়াখালীতে কফি চাষের জন্য নার্সারিগুলোতে চারা পাওয়া যাচ্ছে।

স্বল্প পুঁজিতে কফি চাষ

কফি চাষ করতে পুঁজি কম লাগছে। একেকটি কফি চারা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কলম কাটা কফি চারা থেকে ২ বছর পরই ফল পাওয়া যায়। একটি গাছ থেকে গড়ে ৩ কেজি কফি ফল পাওয়া যায়। যা থেকে প্রায় ১ কেজি কফি গুড়া হয়। আয়তনে ছোট ও বিস্তৃতি কম বিধায় অল্প স্থানেই অনেক গাছ লাগান যায়।

দেশীয় পদ্ধতিতে হচ্ছে কফি সংরক্ষণ

কফি ফল উত্তোলনের সময় অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি। তবে এ বছর কফি ফল উত্তোলন করা হবে। প্রক্রিয়াজাতও করা হবে দেশি পদ্ধতিতে। কফি বীজ ফাটিয়ে চূর্ণ করে সেই ভাঙা কফি রোদে তাপ অনুযায়ী ৪০ মিনিট থেকে ৭০ মিনিট পর্যন্ত শুকিয়ে তা সংরক্ষণ করা হবে। আপাতত এ রকম পদ্ধতিতেই উৎপাদিত কফি প্রক্রিয়াজাতের চিন্তাভাবনা করছে বাগান কর্তৃপক্ষ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কফির চাষ হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে মৌলভীবাজারের মাটি ও আবহাওয়ার মিল আছে। আমাদের মাটি অ্যাসিডিক। এখানেও কফি চাষ হবে।

দো টানায় কফি ফলন

দেশে দুই জাতের কফি চাষ হচ্ছে। একটা হচ্ছে এরাবিকা ও রোবাস্তা। এর মধ্যে রোবাস্তার কফির ফলন বেশি। এছাড়া এতে রোগ ও কীটের আক্রমণ কম থাকে। তবে এটি তেতো স্বাদের হয় বিধায় বিশ্ব বাজারে দাম কম। তবে এরাবিক প্রজাতির কফির চাহিদা বিশ্ববাজারে বেশি। এটি মিষ্টি স্বাদের হয়। কিন্তু এর ফলন কম ও রোগ বালাই বেশি হয়। তাই কফি চাষের আগে কৃষি অধিদপ্তর থেকে সঠিক দিক নির্দেশনা আশা করছে চাষীরা।

উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নেই

কফি চাষ শুরু হলেও এর সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করনের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে না। দেশীয় পদ্ধতিতে রোদে শুকিয়ে গুড়া করেই কফি বাজারজাত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা পারভেজ হোসেন বলেন, কফি চাষ দেশে ৫ থেকে ৬ বছর ধরে হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বিধায় এখন উন্নত প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকবে সবাই। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যথাযথ সাহায্য করবে।

Link copied!