ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রাপ্ত ভোট থেকে প্রাথমিক যাচাই বাছাই শুরু হয়েছে। যাচাই বাছাই সম্পন্ন হলে শুরু হবে মূল গণনা।
এফবিসিসিআই নির্বাচন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনে প্রাথমিকভাবে মোট ১ হাজার ৯৯০ জন ভোটার থাকলেও যাচাই বাছাই শেষে ১ হাজার ৯৫৪ জন ভোটার ভোট প্রদানের জন্য চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পান। সেই ভোটারদের মধ্য থেকে নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ১ হাজার ৭৪৬ জন। এক্ষেত্রে সোমবারের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতির হার ছিল ৮৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
ভোট গ্রহণ শেষে সোমবার বিকেল সোয়া ৫টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে এসব তথ্য জানান এফবিসিসিআই নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ. মতিন চৌধুরী। এ সময় নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য শামছুল আলম এবং এম এন মঞ্জুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এ. মতিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। কারণ ভোটারদের এনআইডি কার্ড ও স্বাক্ষর মিলিয়ে তারপর ভোট প্রদানে তাদের অনুমোদন করা হয়েছে। কোনো বেনামী বা জাল ভোট হয়নি। সব ভোটারই সঠিক ছিলেন। তবে সামান্য কিছু অভিযোগ ছিল, সেগুলো দ্রুতই সমাধান করা হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ খুবই শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর ছিল বলেও জানান তিনি। ভোট গণনা শেষে রাতেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানান নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান।
এর আগে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন চলে ভোট গ্রহণ। নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে আগামী ২ আগস্ট ২০২৩ এফবিসিসিআই সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ছয়জন সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবারের নির্বাচনে খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে পরিচালক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন, সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৩ জন পরিচালক প্রার্থী।