এবারের এক ভিন্ন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। অটোপাস বা সাবজেক্ট ম্যাপিং সিস্টেমে ফল প্রকাশের পর পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন যোগ্যতায় কি পরিবর্তন আসছে?
গত ৩০ জুন উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর এসে পড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন। মাত্র সাতটি পরীক্ষার পরই বেগবান হয় এই আন্দোলন। সারাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর দফায় দফায় স্থগিত করা হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।
এরপর পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। শপথ নেয় নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তা আর সম্ভব হয়নি।
অবশেষে বাতিল করা হয় স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলো। সিদ্ধান্ত হয় অটোপাশ দেওয়ার। এটিকে বলা হচ্ছে ম্যাপিং পদ্ধতি। অর্থাৎ যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছিল, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে, যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর ফলাফল তৈরি করা হয়।
তবে অটোপাসে ফলাফল ভালো হয়নি। কমেছে আগের বছরের তুলনায় পাসের হার। তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কী হবে?
অবশ্য আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষের (২০২৪-২৫) ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, "এ বিষয়ে এখনো কোনো অফিশিয়াল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, তা নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা বলেন,"আমরা জেনারেল অ্যাডমিশন কমিটির মিটিংয়ের পর এটা জানাতে পারবো।"
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১১ লাখ ৩১ হাজার ১১৮ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৪ জন। পৌনে তিন লাখ শিক্ষার্থী এবার ফেল করেছে। গড় পাসের হার এ বছর ৭৫ দশমিক ৫৬, যা গত বছরের তুলনায় কম। গত বছর পাসের হার ছিলো ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ অটোপাসের যুগে ফেল করার হার বেড়েছে
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন যোগ্যতা, `ক` ইউনিটের জন্য ছিল ন্যূনতম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলে মোট ৮ এবং আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫।
আর খ ইউনিটের জন্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মোট ৮ এবং আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫।
এদিকে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৭ দশমিক ৫ এবং আলাদা ভাবে ৩। গ ইউনিটের জন্য খ ইউনিটের মতোই এবং চ ইউনিটের জন্য মোট ৬ দশমিক ৫ এবং আলাদাভাবে ৩।