মিয়ানমারে সেনা অভুত্থানের চতুর্থ মাসে রবিবার (২ মে) জান্তা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা এক হয়ে ‘বসন্ত বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন। রবিবার ইয়াঙ্গুন, মান্দালে ও শান রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪জন নিহত হয়েছেন।
শহরের অলিগলিতে সেনাশাসন বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। তরুণ বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদী তিন আঙ্গুল চিহ্ন দেখিয়ে স্লোগান দেন ‘ সেনাতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য’। বিক্ষোভের আয়োজকরা এটিকে বলছেন, ‘মিয়ানমারের বৈশ্বিক বসন্ত বিপ্লব’। এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘মিয়ানমারের জনগণের ঐক্যের পক্ষে বিশ্বকে সোচ্চার হতে হবে। জান্তা শাসকদের হৃদয়ে কাঁপুনি ধরাতে হবে।’
শহরের বিভিন্ন সামরিক ও সরকারি স্থাপনাগুলোতে প্রায়ই রকেট হামলা, ছোট ও রহস্যজনক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। রোববার সকালে পুলিশের একটি ক্যাম্পের বাইরে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় বেসামরিক নাগরিকরা ঘরে বানানো অস্ত্র নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়ছেন। শনিবার রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিগত ৩৬ ঘণ্টায় ইয়াঙ্গুনে অন্তত ১১টি বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের প্রধান শহর, প্রত্যন্ত অঞ্চল ও উত্তর ও পূর্বের জাতিগত অধ্যূষিত এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চলছে।মিয়ানমারে অভ্যূত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৭৫৯জন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। জাাতিসংঘ বলেছে, বিক্ষোভ ও গণধর্মঘটে দেশটির অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, মিয়ানমারের আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্রের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ।