এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার পাল্টা শুল্ক সম্পূর্ণ বাতিল করতে বলেছেন চীনের কর্মকর্তারা। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ভুল সংশোধন করে নেওয়ার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বড় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। পাল্টা শুল্কের ভুল ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করুন এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের সঠিক পথে ফিরে আসুন।’
২ এপ্রিল বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের ওপর ১০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ৯ এপ্রিল থেকে ট্রাম্পের ওই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প শুল্কারোপ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। তবে ব্যতিক্রম চীন। চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বজায় আছে এবং দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানিতে এখন ১৪৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
যদিও শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসনের কথায় মনে হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু ইলেকট্রনিক পণ্যের ওপর করছাড়ের প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত আছে, এর মধ্যে চীনে উৎপাদিত পণ্যও থাকতে পারে।
তবে গতকাল রোববার মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটকিন এবিসি নিউজকে বলেন, এই ছাড় কেবল সাময়িক সময়ের জন্য। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন ‘সেমিকন্ডাক্টরের’ ওপর আলাদা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছে এবং পরে কোনো একদিন ওই শুল্ক ঘোষণা করা হবে।
লুটকিন আরও বলেন, ‘আমাদের এগুলো অবশ্যই আমেরিকায় তৈরি করতে হবে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও সেমিকন্ডাক্টরের ওপর কর ছাড়ের খবরকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, সেগুলোকে শুধু শুল্কের আলাদা ঝুড়িতে সরিয়ে নেওয়া হবে।
ট্রাম্প লেখেন, ‘আসন্ন জাতীয় নিরাপত্তা শুল্ক তদন্তে আমরা সেমিকন্ডাক্টর এবং পুরো বৈদ্যুতিক পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খলের দিকে নজর দিচ্ছি।’
ট্রাম্পের এই মন্তব্য মাত্রই স্মার্টফোন, কম্পিউটার, সেমিকন্ডাক্টরসহ প্রযুক্তিপণ্যে শুল্কছাড়ের ঘোষণাকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই শুল্কছাড়কে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ছোট পদক্ষেপ’ বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের প্রভাব কী হতে পারে, বেইজিং তা মূল্যায়ন করে দেখছে।
২ এপ্রিল ট্রাম্প চীনের ওপর ৫৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, পরে তা বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়।
পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর প্রথমে ৩৪ শতাংশ, এরপর তা বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ এবং পরে তা আরও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করে।
গত সপ্তাহে সর্বশেষ শুল্কের ঘোষণার সময় চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র শুল্কযুদ্ধ বা বাণিজ্যযুদ্ধ উসকে দিতে চায়, তবে চীন শেষ পর্যন্ত এ লড়াই চালিয়ে যাবে।