ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম
ফাইল ছবি
বুধবার থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে সীমান্তে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করে আক্রমণের অভিযোগ করেছে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং জুলাই মাসে তার মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি পুনরুদ্ধারে তাকে একটি ফোন করতে হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার থেকে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষের জন্য দুই দেশ একে অপরকে দোষারোপ করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলমান সীমান্ত উত্তেজনার কূটনৈতিক সমাধান এখনও কার্যকর হয়নি।
মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আলোচনার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না এবং পরিস্থিতি তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার জন্য অনুকূল নয়। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেটের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা রয়টার্সকে জানান, তার দেশ যে কোনো সময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ট্রাম্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই নতুন সংঘাত সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আজ তারা যুদ্ধ করছে, তবে তা থামাতে আগামীকাল আমাকে একটি ফোন কল করতে হবে। আর কে বলতে পারে, আমি একটি ফোন কল করব এবং দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী দেশ, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার যুদ্ধ বন্ধ হবে।” এ সময় তিনি পাকিস্তান ও ভারত, ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে তার সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন।
কম্বোডিয়ান সরকারের মুখপাত্র পেন বোনা বলেন, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত; তারা কেবল শান্তি চায়। থাই সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, তিনি জানেন না প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা, কারণ প্রধানমন্ত্রী সংসদে ছিলেন।
সেনা সূত্র জানিয়েছে, বুধবার সকালে কম্বোডিয়ান বাহিনীর ছোড়া বিএম-২১ রকেট থাইল্যান্ডের সুরিন জেলার ফানম ডং রাক হাসপাতালে পড়ে, যার ফলে রোগী ও কর্মীদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া, বিতর্কিত প্রিয়াহ বিহার মন্দির কমপ্লেক্সের কাছাকাছি অন্যান্য সীমান্ত এলাকায় ড্রোন, রকেট ও ট্যাংক ব্যবহার করা হয়েছে।
কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, থাইল্যান্ড পুরসাত প্রদেশে হামলার জন্য কামান এবং সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করেছে, বাটামবাং প্রদেশে বেসামরিক এলাকায় মর্টার নিক্ষেপ করেছে, এবং থাই এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করার পাশাপাশি বেসামরিক এলাকায় বোমা ফেলেছে।