৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশটির কায়াহ রাজ্যে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।
দেশটির মানবাধিকার সংগঠন কারেননি বলছে, শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) তারা কায়াহ রাজ্যের হিপরুসো শহরে মো সো গ্রামে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুড়িয়ে দেওয়া লাশ পেয়েছেন।
এদিকে, সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হত্যা করেছে। নিহতরা ৭ টি গাড়িতে ছিলেন। হত্যার আগে তাদের থামার সংকেত দিলেও তারা থামেননি।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো যে ছবি শেয়ার করেছে তাতে ৩ টি গাড়িতে ৩০টিরও বেশি পোড়া লাশের অংশবিশেষ দেখা গেছে।
সপ্তাহখানেক ধরেই উত্তপ্ত মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি। দেশটির সীমান্তবর্তী কারেন প্রদেশে নতুন করে বিমান হামলা ও ভারী গোলাবর্ষণ চালিয়েছে জান্তা বাহিনী।
এমন পরিস্থিতিতে কারেন যোদ্ধারা লে কায় কাও শহরকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের কাছে।
এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটিকে অস্থিতিশীল করতেই এমন উপর্যুপরি হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি দেশটির মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। খুব শিগগিরই থাইল্যান্ডে ঢুকে পড়া শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
এর আগে, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর হামলা-নিপীড়নের শিকার হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।