ছবি: সংগৃহীত
উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে সমান অধিকারসহ নারী সংস্কার কমিশনের ৬টি প্রস্তাবের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। একইসঙ্গে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশের কিছু বিষয় পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রোববার, ০৪ মে জনস্বার্থে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
রিটটি বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য সোমবার তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
একইসঙ্গে রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট ২০২৫’-এর ছয়টি অধ্যায়কে (অধ্যায় তিন, চার, ছয়, দশ, এগারো ও বারো) ইসলামি শরীয়ত, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি এবং বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে এই রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
প্রথমত, রিপোর্টের অধ্যায় ১১-তে পুরুষ ও নারীর জন্য সমান উত্তরাধিকার দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সরাসরি কোরআনের সুরা নিসা (৪:১১)-এর পরিপন্থি।
দ্বিতীয়ত, রিপোর্টে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছে, যা ইসলামী শরীয়তে অনুমোদিত একটি বিধান এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ণ করে।
তৃতীয়ত, ‘My Body, My Choice’ স্লোগানকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে শরীয়তের ওপর ভিত্তি না রেখে নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করা হয়েছে।
চতুর্থত, যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ইসলামি মূল্যবোধ এবং সংবিধানের ২(ক) ও ২৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।
পঞ্চমত, রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় এবং ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা শরীয়তবিরোধী এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রিটে তিনটি মন্ত্রণালয় এবং উইমেন রিফর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান বিবাদী করা হয়েছে।
এদিকে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিলের দাবি তুলেছে ইসলামপন্থী বিভিন্ন দল ও হেফাজতে ইসলাম। তারা বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করছে।