অনেকেই রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে ক্লান্তি বেড়ে যায়, শরীর দুর্বল লাগে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হয় এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হয়। কিন্তু পরিস্থিতি খুব জটিল না হলে সাধারণ কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেয়েই রক্ত স্বল্পতার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ফল: বহু খাবারেই আয়রন থাকে। কিন্তু শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি না থাকলে সেই আয়রন শরীর ঠিক করে গ্রহণ করতে পারে না। ফলে এমন ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত, যাতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। আম, লেবু, আপেল, পেয়ারায় ভিটামিন সি রয়েছে। এই ভিটামিন সি অন্য খাবার থেকে আয়রন পেতে শরীরকে সাহায্য করে। এ ছা়ড়া বেদানাও খেতে পারেন। তাতেও প্রচুর আয়রন রয়েছে।
শাক-সবজি: শাক-সবজি খেলে আয়রনের ঘাটতি অনেক কমে। বিট হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। টমেটো, কুমড়ো, ব্রকোলি বা পালং শাকে প্রচুর আয়রন থেকে। এগুলি খেলেও অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমতে পারে।
সামুদ্রিক মাছ: এই জাতীয় মাছে প্রচুর আয়রন থাকে। যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁরা এই মাছ খেতে পারেন। তবে কারও কারও এই ধরনের মাছ খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। তাঁরা সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
ডিম: রক্তাল্পতার সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ ডিম। যাঁরা নিয়মিত ডিম খান, তাঁদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি অনেকটাই কমে যায়।
শুকনো ফল: হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গিয়েছে? দ্রুত বাড়াতে চাইলে শুকনো ফল খেতে পারেন। কিসমিস, কাজু, খেজুরে প্রচুর আয়রন রয়েছে।
ডার্ক চকোলেট: হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমানোর মোক্ষম দাওয়াই ডার্ক চকোলেট। মিল্ক চকোলেট বেশি পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। কিন্তু ডার্ক চকোলেটে সেই সমস্যা নেই। বরং এটি খেলে আয়রনের ঘাটতি অনেকটাই কমবে।