নারীর কান্নার গন্ধে কমে যায় পুরুষের রাগ!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ১, ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম

নারীর কান্নার গন্ধে কমে যায় পুরুষের রাগ!

সংগৃহীত ছবি

“মেয়েদের চোখের জল থাকে ভ্রুর নিচে”- এ ধরনের একটি বাংলা প্রবাদ প্রচলিত আছে। মেয়েরা সাধারণত কান্না লুকাতে পারে না। তারা যেকোনো তুচ্ছ ব্যাপারে ও কান্না করে।

মেয়েদের চোখের পানির গন্ধই ঠিক করে দিতে পারে অনেক কিছু। কথাটায় অনেকেই বিশ্বাস না-ই করতে পারেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণাতেও ওই প্রমাণ পাওয়া গেছে। কী সেই প্রমাণ? প্লস বায়োলজি পত্রিকায় একদল গবেষকের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।

ইসরাইলের ওয়াইজমান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্সের গবেষক শানি অ্যাগ্রনের এই গবেষণা মেয়েদের চোখের পানি নিয়ে। মেয়েদের চোখের পানি কি পুরুষদের রাগ কমিয়ে দিতে পারে? এই ছিল গবেষণার বিষয়বস্তু। এর সপক্ষেই অবশেষে প্রমাণ মিলল গবেষণায়। 

দেখা গেল, চোখের পানি সত্যিই পুরুষের ‘মাথা গরম’ কমিয়ে দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের নম্র করে দিতে পারে চোখের পানি।

তবে চোখের পানি দেখলে পুরুষের মাথা গরম কমছে কি না বলা মুশকিল। কারণ পরীক্ষার বিষয়বস্তু অন্য। পরীক্ষা চলাকালীন চোখের পানির গন্ধ শুঁকতে হয়েছে পুরুষদের। ও গন্ধ শুঁকেই নাকি নিমেষে রাগ কমে গেছে তাদের। প্রাথমিকভাবে এই পরীক্ষা ইঁদুরের বিশেষ প্রজাতি রোডেন্টের উপর করা হয়।  

এতে দেখা যায়, মেয়ে ইঁদুরের চোখের পানির গন্ধ শুঁকেই রাগ কমে যাচ্ছে পুরুষ ইঁদুরের। বিজ্ঞানীদের কথায়, প্রাণীদের মধ্যে এটা অহরহ হয়ে থাকলেও মানুষদের মধ্যে এটি ততটা বোঝা যায় না। এজন্য পুরুষদের উপর পরীক্ষা করা হয়েছিল।

পরীক্ষানিরীক্ষার সময়, একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করলে দেখা যায় পুরুষদের ঠকানো হয়। যার ফলে স্বাভাবিকভাবে তারা রেগে যান। এতে করে তারা মুহূর্তেই নানাভাবে রাগ দেখাতে থাকেন। এর মধ্যে একদলকে শোঁকানো হয় মেয়েদের চোখের পানির গন্ধ অন্যদলকে স্যালাইনের গন্ধ শোঁকানো হয়। যদিও আদতে দুটিরই কোনো গন্ধ নেই। কিন্তু নাকের সামনে নিয়ে শোঁকার ভঙ্গি করতে হয়। দেখা গেছে ৪০ শতাংশ পুরুষে রাগ কমেছে একেবারেই!

এমআরআই স্ক্যান করে দেখা গেছে, চোখের পানির গন্ধে এই দুটি অংশই নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
গবেষকদের কথায়, মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স ও অ্যান্টিরিয়র ইনসুলা রাগের সময় প্রচণ্ড সক্রিয় থাকে। এর ফলে পুরুষদের রাগ ৪০ শতাংশের বেশি কমে যায়।

Link copied!