সাধারণত বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন পুরুষ বা মহিলার সাথে প্রেমকেই পরকীয়া প্রেম বলে। এর ঝাঁঝ অতি মারাত্মক। মানবসমাজে অনেক ধরণের প্রেমই তো আছে! তবে যত ধরণের প্রেমই থাকুক না কেন ‘পরকীয়া’ প্রেমকে সবাই একটু ভিন্ন চোখে দেখে।
পরকীয়াকে অনেক সময় ‘বিশেষ’ ধরণের প্রেমও বলা হয়! বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরকীয়ায় আবেগটাই বেশি প্রাধান্য পায়।
কখন কার প্রেমে পড়বেন, বোঝা মুশকিল। প্রকাশ্যে পরকীয়া নিয়ে আলোচনা করাও অনেক জায়গায় সংস্কৃতি বহির্ভূত। চিরকালই নিষিদ্ধ প্রেমের হাতছানিতে সাড়া দিয়েছেন বহু পুরুষ এবং মহিলা।
অনেকে মনে করেন, বিবাহিত সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক দূরত্ব থেকেই পরকীয়া সম্পর্কের দিকে যান মানুষ। মানসিক দূরত্বের পাশাপাশি, শারীরিক অপূর্ণতা থেকেও পরকীয়া সম্পর্কের দিকে ঝোঁকেন মানুষ।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার লাইফস্টাইল বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি একটি অনলাইন ডেটিং সংস্থার করা সমীক্ষা জানিয়েছে, যে মহিলারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫২ শতাংশ নিয়মিত যোগ অভ্যাস করে থাকেন।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যে মহিলারা নিয়মিত সকালে দৌঁড়ান। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সেই মহিলারা, যাঁরা প্রতি দিন টেনিস খেলেন। সাঁতার কাটেন এবং নিয়মিত সাইকেল চালান এমন মহিলাদের মধ্যেও পরকীয়ার প্রবণতা বেশির দিকে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, নানা ধরনের শরীরচর্চার অভ্যাস থাকা মহিলাদের মধ্যেই কেন পরকীয়ার প্রবণতা বেশি? গবেষণা বলছে, রোজ শরীরচর্চার অভ্যাস শুধু শারীরিক ভাবে নয় মানসিক ভাবেও উৎফুল্ল রাখে। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ভিতর থেকে শক্তি জোগায়।
এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মহিলাদের প্রশ্ন করা হলে অধিকাংশেই এক বাক্যে উত্তর দিয়েছেন, যৌনজীবন আরও আনন্দমুখর করে তুলতেই সঙ্গী থাকা সত্ত্বেও জীবনে প্রবেশ ঘটে অন্য ব্যক্তির। সঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পর একঘেয়েমি চলে আসে। নতুন স্পর্শ পেতে ইচ্ছা করে। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস সেই ইচ্ছাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।