যৌনতার উদযাপন শেখা উচিত পশুদের কাছ থেকে: তসলিমা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২, ০২:৪৩ এএম

যৌনতার উদযাপন শেখা উচিত পশুদের কাছ থেকে: তসলিমা

প্রেমজীবনেও সমাজের তোয়াক্কা করেননি তসলিমা নাসরিন! যখন তখন যেমন হুড়মুড়িয়ে প্রেমে পড়েছেন, তেমনই অবাধ যৌনতাতেও মেতেছেন ইচ্ছেমতো। এই বিষয়ে গতকাল গভীর রাতে লেখিকা আবারও সরব হয়েছেন তার ফেসবুক পেজে। ফের উস্কে দিয়েছেন বিতর্ক।

কীভাবে ছক ভাঙা পথে হেঁটে প্রেমে মগ্ন ছিলেন তিনি? ২০১৬-র একটি পোস্ট অনুরাগীদের সামনে এনে জানিয়েছেন একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতিও।

তসলিমার কলম বলছে, ‘তিরিশ বছর আগে আমি আমার প্রেমিককে রাস্তায়, রেস্তোরাঁয় চুমু খেয়েছিলাম বাংলাদেশের মতো দেশে’। আর? ইউরোপের দেশগুলোতে হাটে মাঠে ঘাটে ইউরোপীয় প্রেমিককে তো চুমু খেয়েছেনই। ঘোর পূর্ণিমা-রাতে যৌনতায় মেতেছেন নির্জন সমুদ্রপাড়ে! যৌন জীবন যাপন করেছেন চাঁদের আলোয় স্নান করতে থাকা নিবিড় অরণ্যে। কারণ, তার কাছে যৌনতা সব সময়ই খুব সুন্দর। নারী-পুরুষ, নারী-নারী, পুরুষ-পুরুষ, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার নির্বিশেষে।

তার পরেই তসলিমার হাল্কা ক্ষোভ। তার দাবি, পশুদের থেকে সভ্য দুনিয়ার শেখা উচিত কী ভাবে যৌনতার উদযাপন করতে হয়! লেখিকা বিস্মিত, আমি বুঝি না, বাইরে জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে পৃথিবী, আর মানুষ কি না চারদেয়ালের ভেতর দরজায় খিল এঁটে সঙ্গম করে। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে গিয়েছে, আর কত দূরে সরবে! একই সঙ্গে আক্ষেপ তার, মানুষগুলো দিন দিন দু’পেয়ে যন্ত্র মানব হয়ে উঠছে। সঙ্গমগুলোও যেন আর সঙ্গম নেই! সব যেন ধর্ষণ হয়ে উঠছে। ভালবাসাও হয়ে উঠছে ঈর্ষা।

তসলিমার পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল...

‘তিরিশ বছর আগে আমি আমার প্রেমিককে রাস্তায়, রেস্তোরাঁয় চুমু খেয়েছিলাম বাংলাদেশের মতো দেশে। ইউরোপের দেশগুলোয়  হাটে মাঠে ঘাটে ইউরোপিয়ান প্রেমিককে তো   চুমু খেয়েছিই, ঘোর পূর্ণিমা-রাতে  সেক্স করেছি নির্জন সমুদ্রপাড়ে, করেছি চাঁদের আলোয় স্নান করতে থাকা  নিবিড় অরণ্যে। সেক্স সবসময়ই  খুব সুন্দর। নারী-পুরুষের, নারী-নারীর, পুরুষ-পুরুষের, ট্রান্সজেন্ডারের, কুইয়ারের। অ্যানিমেলদের কাছে, বিশেষ করে বনোবোদের কাছ থেকে শেখা উচিত সেক্স নিয়ে  কী করে  উৎসব করতে হয়। বনোবোরা সবচেয়ে শান্তিপ্রিয় প্রাণী। কারণ তারা কলহ কোন্দল মিটিয়ে নেয় সেক্স করেই। বনোবোদের সঙ্গে মানুষের ডিএনএ'র সবচেয়ে বেশি মিল। আমি বুঝিনা বাইরে জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে পৃথিবী, আর মানুষ কি না চারদেয়ালের ভেতর দরজায় খিল এঁটে সঙ্গম করে। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে গেছে, আর কত দূরে সরবে! মানুষগুলো  দিন দিন  দুপেয়ে রবোট হয়ে উঠছে। আসলে সঙ্গমগুলোও আর সঙ্গম নেই। সব যেন ধর্ষণ হয়ে উঠছে। ভালোবাসাও হয়ে উঠছে ঈর্ষা’।

Link copied!