সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ১১:৩২ এএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদকে পিটিয়ে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
রবিবার দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
নির্বিচারে একের পর এক দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যার ঘটনা জাতিকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এক দশক আগে ২০১৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাসুদের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর থেকে একটি কৃত্রিম পায়ের সাহায্য নিয়ে পঙ্গু জীবনযাপন করছিলেন মাসুদ। মাত্র ৫দিন আগে মাসুদ প্রথম কন্যা সন্তানের জনক হন।”
তিনি বলেন, “তিনি সদ্যজাত কন্যার জন্য ওষুধ কিনতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। ঠিক সে সময়েই সংঘবদ্ধভাবে হামলার শিকার হন মাসুদ। প্রথমে তাকে বস্তায় ভরে পেটানো হয়। এরপর রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে তাকে ফেলে রাখা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে এ ধরনের পৈশাচিক কর্মকাণ্ড আইনের শাসনের সুস্পষ্ট অবনতি। এমনকি চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নিতে যেতে দেওয়া হয়নি। মাটিতে ফেলে রাখা মাসুদ বারবার পানি পান করতে চাইলেও খুনিরা ন্যূনতম সহানুভূতি দেখায়নি। মাটিতে ফেলে রেখেই মাসুদের মৃত্যু নিশ্চিত করে।”
তিনি আরও বলেন, “যেখানে গুরুতর অপরাধের জন্যও সাধারণত কোনো আদালতেই পঙ্গু ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না, সেখানে মাসুদকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ ঘটনার নিন্দা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে যাবতীয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিসর্জন দেওয়ার যে চর্চা চলছে তা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।”
নাছিম বলেন, “এসব বিষয়ে দেশি, বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নীরবতা দুঃখজনক। মানবাধিকার রক্ষায় অতীতের মতো তাদের সরব ভূমিকা আশা করছি।”