কালজয়ী সুরকার আলম খান মারা গেছেন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৮, ২০২২, ০১:৩২ পিএম

কালজয়ী সুরকার আলম খান মারা গেছেন

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক, কালজয়ী সুরকার আলম খান আর নেই। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আলম খানের ছেলে আরমান খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 তিনি জানান, “আব্বা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে।”

বাংলা সিনেমার গানে অবিস্মরণীয় নাম আলম খান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি অসংখ্য কালজয়ী গান সৃষ্টি করেছেন। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন। আলম খানের জন্ম ১৯৪৪ সালের ২২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাতি গ্রামে। ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন তিনি। এই স্কুলে থাকা অবস্থায়ই গানের প্রতি আগ্রহী হন এবং মায়ের উৎসাহে তিনি গানের চর্চা শুরু করেন। এরপর বাবাও সমর্থন দেন। তার ছোট ভাই ছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি পপ শিল্পী আজম খান।

আলম খানের সুরে আব্দুল জব্বারের কণ্ঠে 'ওরে নীল দরিয়া', এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে 'হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস', ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কি জাদু করিলা পিরিতি শিখাইলা’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’, ‘আমি তোমার বধূ তুমি আমার স্বামী’, ‘জীবনের গল্প বাকি আছে অল্প’, ‘মনে বড় আশা ছিল’, ‘সাথীরে যেও না কখনো দূরে’, ‘বেলি ফুলের মালা পরে’, ‘কাল তো ছিলাম ভাল’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘ভালবাসিয়া গেলাম ফাঁসিয়া’, ‘তুমি কি এখন আমারই কথা ভাবছো’, ‘আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটাইরে’সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার তিনি।

আলম খানের ২ ছেলে আরমান খান ও আদনান খান। তারা দুজনেই সংগীত পরিচালক। একমাত্র মেয়ে আনিকা খান।

Link copied!