টলিউড পাড়ায় ঘটে গেল অঘটন। আত্নহত্যা করেছেন অভিনেতা অঙ্কুশ এবং অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলার সহকারি পিন্টু দে(৩৪)। কাঁকুড়গাছিতে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পিন্টুর মরদেহ। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার সেই খবর নেটমাধ্যমে জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়ায় টলি-পাড়ায়। পিন্টু দে-কে সবাই বাপ্পাদা হিসেবে চিনতো। কাছের মানুষটিকে হারিয়ে ফেলার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না অঙ্কুশ। প্রিয় বাপ্পাদাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে শোক প্রকাশ করেছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘আজ আমি আমার সবথেকে কাছের মানুষকে হারালাম। বাড়ির ভিতরে যেমন মা বাবা আমার খেয়াল রাখে ঠিক সেরকম বাড়ির বাইরে এই মানুষটি আমাকে আমার মা বাবার মতো খেয়াল রাখত। ১০ বছরের এই পথ চলা কোনওদিন ভুলব না। যেখানেই থেকো ভালো থেকো বাপ্পাদা। তবে আমাকে এভাবে ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য অভিমান সারাজীবন করব তোমার উপর। শুটিংয়ে সময় মতো ওষুধ খাব কিনা আর জানি না। সময় মতো জল খাব কিনা জানি না। ছোট্ট টাওয়েল দিয়ে আমার শরীরের ঘাম কে মুছিয়ে দেবে আর জানি না। এভাবে অভ্যেস খারাপ করিয়ে দিয়ে চলে গেলে এর জন্য ক্ষমা করব না। জানি সম্ভব না তাও ফিরে এসো।’
এই ঘটনা নিয়ে পিন্টুর পরিবার জানিয়েছেন, বেশ কিছু সময় ধরে টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছিলো তাকে। এ ঘটনাকে ঘিরে তদন্ত চলছে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছে, গত দেড় মাসে ভাগে ভাগে মোট ৩০ হাজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে অজ্ঞাত কাউকে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নেটমাধ্যমে ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন পিন্টু। প্রাথমিক ভাবে আমরা এ সংক্রান্ত অনেক তথ্যই হাতে পেয়েছি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ পুলিশ আরও জানায়, ‘তার মোবাইল ফোন আমাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। মোবাইল থেকে আরও তথ্য খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে।’
এ বিষয়ে অঙ্কুশ গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘হুমকির ব্যপারটি কখনও কিছু টের পাইনি আমি। আগে জানলে আমি নিজেই পদক্ষেপ নিতাম।’ তিনি আরও জানান, ‘ধার শোধ করতে হবে বলে তাঁর কাছ থেকে কয়েক বার টাকা নিয়েছিলেন পিন্টু। খুবই সৎ মানুষ ছিলেন বাপ্পাদা। তাই যখনই টাকা চেয়েছেন, দিয়ে দিয়েছি। জানতাম, খারাপ কাজ করতেই পারেন না। টাকা চাওয়ার আসল কারণ বুঝতে পারলে এ ভাবে অসময়ে চলে যেতে দিতাম না।’