মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী ও মোহামেডানের খেলা ছিল। খেলার একটি পরিস্থিতিতে সাকিব আবেদন করেন। লেগ বিফোর দ্য উইকেটের আবেদন। ব্যাট করছিলেন মুশফিকুর রহিম। আম্পায়ার নাকোচ করে দেন। এতে সাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে লাথি দিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে ফেলেন। এরপর বৃষ্টির আগে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করলে আবারো তিনি ছুঁটে গিয়ে স্ট্যাম্প তুলে আছরে ফেলেন। এই ঘটনার পর খেলা বন্ধ হয়।
ড্রেসিংরুমে আবাহনীর খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে সাকিব মাফ চেয়েছেন আবাহনী ও সমর্থকদের কাছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিত্রে সাকিব আল হাসানের স্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে ভুল দৃষ্টিকোণকে ইস্যু করছে দাবি করে দুষলেন।
সাকিব আল হাসানের স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন,‘আমি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকায় বিনোদিত হয়েছি। বিশেষ করে কিছু টেলিভিশনের কান্ডও দেখলাম। আমার ভাল লেগেছে সাধারণ মানুষ সাকিবের পক্ষে গেছে। আসল চিত্র (ঘরোয়া ক্রিকেটে বিতর্কিত আম্পায়ারিং, ম্যাচ পাতানো, প্রভাব বিস্তার) দেখে অন্তত একজনের সাহস হয়েছে প্রতিবাদ করার। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আসল ইস্যু সংবাদ মাধ্যম এড়িয়ে গেল। আর শুধু সাকিবের রাগটাই তুলে ধরলো। আসল ইস্যু হচ্ছে আম্পায়ার কি সিদ্ধান্তটা নিল। যে সব শিরোনাম হয়েছে, তা খুব দুঃখজনক। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। তাকে খলনায়ক বানানোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। আপনি যদি ক্রিকেট প্রেমী হন তাহলে এসব থেকে দূরে থাকবেন।’
আবাহনীর ম্যানেজার সুজনের সাথে দেখাও করেছেন সাকিব। ক্ষমা চেয়েছেন। সুজনের সঙ্গে মিটমাট হয়ে গেছে। সাকিব টিম হোটেলে সবার সঙ্গে বসে নৈশভোজও করেন। সেখানে সাকিব হাসি-খুশিও ছিলেন। সাকিব ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু আম্পায়ার রিপোর্ট করেছে। ‘লেভেল-২’ তার অপরাধ অনুযায়ী ২ বা ১ ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন। ক্ষমা চাওয়ায় ব্যাপারটি মিটমাট হয়ে যেতে পারে। এদিকে গুঞ্জন রয়েছে সাকিব ২-৩ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন পরিবারের কাছে। মোহামেডান ওই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটিতে জয়লাভ করে মাঠ ছেড়েছিল (ডিএলএস পদ্ধতিতে ৩১ রানে)। এখন সাকিব শাস্তি এড়াবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।