টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারে যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ। ওমানের মাসকটে স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হেরে গেছে টাইগাররা। এখন সামনে ২টি পাপুয়া নিউগিনি ও ওমানের সঙ্গে বাছাই পর্বের ম্যাচ রয়েছে। জয় ছাড়া কোনো উপায় নেই তাদের। ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউগিনি ও ১৯ অক্টোবর ওমানের সঙ্গে ম্যাচ। ওমান এদিকে ১০ উইকেটেরে জয় নিয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছে।
জয়ের জন্য ১৪১ রান টার্গেট দেয় স্কটল্যান্ড। টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে বাংলাদেশ পারলো এই স্কোর টপকাতে। ১৩৪ রানে থামলো বাংলাদেশ। এমন হার অপ্রত্যাশিত বটে। এখন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৯ অক্টোবর প্রতিপক্ষ ওমান। যারা জয়ে বাছাই শুরু করেছে। তাদের হারাতেই হবে। আর কোনো পথ নেই। তাদের হারাতে পারলে আশা জিইয়ে থাকবে মূল পর্ব বা সুপার টুয়েলভে যাওয়ার।
মূল পর্বে যাবে ‘এ’ ও ‘বি’ থেকে ৪টি দল। আর ১২টি দল নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে সুপার টুয়েলভ। বাংলাদেশের এখনো মূল পর্বে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।
নাইম শেখ ও নাসুম আহমেদ এই ম্যাচে দলে জায়গা পাননি। সৌম্য ও লিটন ম্যাচ উদ্বোধন করেন। ১৮ রানের মধ্যেই ২ ওপেনার আউট হয়ে ফিরে যান। দুজনই সমান ৫ রান করেন। স্কটল্যান্ডের লেগ স্পিনার ক্রিস গ্রিয়েভস চতুরতার সাথে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামলেছেন। আর পেসার ব্র্যাড হুইল মাপা বল করেছেন। গ্রিয়েভস ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।
বাংলাদেশের মুশফিক ৩৮ ও সাকিব ২০ রানে ফিরেছেন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ২৩ রান করে ফিরলে জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায়। আশা জাগিয়ে আউট হয়েছেন ১২ বলে ১৮ রান করা আফিফ। মাহেদী ৫ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আফসোস থাকতে পারে। আরো আগে নামলে হয়তো ম্যাচটা জেতাতেও পারতেন হয়তো!
গ্রিয়েভস ব্যাট হাতেও চমৎকার ছিলেন। ২৮ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। ৪টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। ম্যাচসেরার পুরস্কার তিনিই পেয়েছেন। এছাড়া মানসি ২৯ ও ওয়াট ২২ রান করে ফিরেছেন। মাহেদী ১৯ রানে ৩টি ও সাকিব ১৭ রানে ২টি উইকেট নেন। সাকিব আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক (১০৮)। মালিঙ্গাকে পেছনে ফেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তার ১২ হাজারের বেশি রান ও ৬০০ উইকেট রয়েছে।