জুলাই ১৫, ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট এম.এ কুদ্দুস-এর অকাল মৃত্যুতে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে)।
শনিবার (১৫ জুলাই) এক শোক বার্তায় বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন।
শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, এম.এ কুদ্দুস কার্টুন অঙ্কনের মাধ্যমে প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন প্রতিবাদী কার্টুনিস্ট হারালো। যা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সাংবাদিকদের রুটিরুজির আন্দোলনের আপোষহীন সৈনিক ছিলেন এমএ কুদ্দুস। সৎ ও অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করা কুদ্দুস আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। সহসভাপতি হিসেবে তার ইউনিয়নের রাজনীতি শুরু হয়। সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবেও সাংবাদিকদের রুটি-রুচি, মান-মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনে তিনি সবসময়ই সোচ্চার ছিলেন। আমরা হারালাম একজন নিরলস সহযোদ্ধা।।
ভোর ৪ টার দিকে রাজধানীর নাখালপাড়ার ভাড়া বাসায় জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এমএ কুদ্দুস।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এমএ কুদ্দুস-এর মরদেহ প্রথমে তাঁর কর্মস্থল দৈনিক সংবাদ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবে নামাজে জানাজা শেষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন তিনদিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করে। ইউনিয়ন কার্যালয়ে শোক বই রাখা হয়।
এমএ কুদ্দুস-এর মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ এশা রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের বেনিনগর ইসলামপুর ঈদগাহ ময়দানে তাঁর দ্বিতীয় জানাযা শেষে মহাদেবপুর আজিরন নেছা কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।