প্রেমিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখার পর মেয়েকে হত্যা করেছেন ভারতের হায়দরাবাদের এক মা।
১৯ বছর বয়সের ওই মেয়েকে সুপাত্রস্থ করার চেষ্টা করে আসছিলেন মা। কিন্তু কোনো পাত্রই মেয়ের মনঃপুত হচ্ছিল না। বিয়ের জন্য আসা সব পাত্রকে কেন ফিরিয়ে দিচ্ছে মেয়ে? কর্মজীবী মায়ের মনে এমনই প্রশ্ন সবসময় ঘুরপাক খাচ্ছিল। অবশেষে পারিবারিক পছন্দের বিয়েতে মেয়ের আপত্তির কারণ জানতে পারলেন মা। তিনি অফিসে বাড়িতে অন্তরঙ্গ সময় যাপনের জন্য প্রেমিককে নিয়ে আসে মেয়ে। আর সেটাই কাল হলো। প্রেমিকের সঙ্গে হাতেনাতে মায়ের কাছে ধরা পড়ে গেলেন মেয়ে।
বুধবার (২০ মার্চ) রাজ্যের ইব্রাহিমপাটনাম শহরে বারঘাভি নামের ওই কিশোরীর মা কাজ সেরে বাড়িতে আসেন দুপুরের খাবার খেতে। ঢুকেই আবিষ্কার করেন, তার মেয়ে ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিককে নিয়ে এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে নিজের মেয়ের প্রেমিককে বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি। এরপর মেয়ের ওপর নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে গলায় শাড়ি দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধে মেয়েকে হত্যা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইব্রাহিমপাটনামের পুলিশ কর্মকর্তা সত্যনারায়ণ বলেন, ‘ওই কিশোরীর ছোট ভাই দাবি করেছে, সে তার নিজ চোখে এই হত্যাকাণ্ড দেখেছে। এরপর নিজ মায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। যখন তার মা তার বোনকে মারধর করছিল, তখন সে ঘরের জানালার বাইরের পাশে ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে নিজের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আসছিলেন ওই মা। এজন্য মেয়ের জন্য পাত্রও খুঁজছিলেন তিনি। কিন্তু এর মধ্যেই তার মেয়ের এমন কাণ্ডে রেগে যান তিনি। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে নিজের হাতে মেয়েকে হত্যা করেন। ঘটনার পর মেয়ে বারঘাভি হত্যায় অভিযুক্ত মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি।