সম্প্রতি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে বড় আকারের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যখন দেশজুড়ে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে, তখনই তারা সরকারের কেউ নন বলে জানালেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বেনজীর ও আজিজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কেউ নন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, “বেনজীর আমাদের দলের লোক নয়। সিনিয়রিটি ও মেধা নিয়ে সে আইজিপি হয়েছে। আজিজও আমাদের দলের লোক নয়। তারা যোগ্যতায় ও সিনিয়রিটিতে সেনাপ্রধান হয়েছে। এখন ভেতরে তারা যদি কোনো অপকর্ম করে, এটা যখন সরকারের কাছে আসে তখন তাদের বিচারের সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আপনাদের সময় কেউ শাস্তি পায়নি। আপনাদের দলের নেতা নিজেই দুর্নীতিবাজ। সিঙ্গাপুর থেকে কোকোর টাকার একটা অংশ আনতে পেরেছি। এফবিআই ঢাকায় এসে তারেকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে।”
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “আপনাদের সময় কেউ শাস্তি পায়নি। আপনাদের দলের নেতা নিজেই দুর্নীতিবাজ। সিঙ্গাপুর থেকে কোকোর টাকার একটা অংশ আনতে পেরেছি। এফবিআই ঢাকায় এসে তারেকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে লক্ষ্য করেছি, বিরোধী দল বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাদের দলের প্রধান দুর্নীতির অভিযোগে সাজা ভোগ করছে। প্রধানমন্ত্রীর উদারতায় বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এটা করেছেন। বিএনপি আন্দোলন করতে পারেনি, তাদের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়নি। হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনেও অংশ নেয়নি।”
‘দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ’
দেশের ইতিহাসে যত নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “বিরোধী দল বিএনপি যোগ না দিলেও এই নির্বাচন সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ। ‘৭৫-পরবর্তী সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ছিল এবারের নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন নিয়েও এত কথা, জনগণ নাকি ভোট দিতে যায় না। অথচ প্রথম ধাপে ৩৬, দ্বিতীয় ধাপে ৩৭ ও তৃতীয় ধাপে ৩৮ শতাংশেরও বেশি ভোটার উপস্থিতি ছিল। জাতীয় নির্বাচনেও ৪২ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল। এখানে কোনো প্রাণহানি হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাউকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবের, প্রশাসনের বড় পদে বসায়নি। আটজনকে পাশ কাটিয়ে ৯ নম্বর ব্যক্তি মঈন ইউ আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছে। কে করেছে? বেগম খালেদা জিয়া। আশরাফুল, রকিবুল হুদা, কোহিনূর কার সৃষ্টি? মির্জা ফখরুল অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন। ভুলে গেছেন, আপনার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অস্ত্র চোরাচালান, মানি লন্ডারিংয়ের মামলায়, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশে বিদেশে সর্বত্রই একজন সৎ পলিটিশিয়ান হিসেবে পরিচিত। তার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই।”