স্বাগতিক বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ছিলেন না লিওনেল মেসি, সঙ্গে ছিল কঠিন কন্ডিশনে পারফর্ম করার চ্যালেঞ্জ। লাপাজ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ২২৫ মিটার ওপরে হওয়ায় বেশির ভাগ সময়ই অক্সিজেনের অভাবে নাভিশ্বাস ওঠে খেলোয়াড়দের। এবার অক্সিজেন মাস্ক সঙ্গে নিয়েই বলিভিয়া গেছে আর্জেন্টিনা দল।
এমন এক প্রতিকূল পরিবেশে মেসিকে ছাড়াই জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। বলিভিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরে সামনে থেকেই আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আনহেল ডি মারিয়া। গোল না পেলেও করেছেন দুটি অ্যাসিস্ট। দলের জয়ে এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস তালিয়াফিকো এবং নিকোলাস গনসালেস একটি করে গোল পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে লাপাজের এস্তাদিও হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়ামে ৬০ শতাংশ বলই দখলে ছিল আর্জেন্টিনার। অন্যদিকে ৩৯ মিনিটে দুই হলুদ কার্ডের পর লাল কার্ড হজম করে মাঠ ছাড়তে হয় বলিভিয়ার রবার্তো ফার্নান্দেজকে। ঘরের মাঠের বিরূপ পরিস্থিতি দিয়ে প্রতিপক্ষকে কাবু করা তো দূরে থাক, স্বাগতিকরা উল্টো ১০ জনের দল নিয়ে আরও চাপে পড়ে যায়।
প্রথম দশ মিনিট থেকেই ম্যাচের প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় আর্জেন্টিনা। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের রদ্রিগো দি পলের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ঠিক দুই মিনিট পর এনজোর দুর্দান্ত এক শট আঙুল ছুঁয়ে ঠেকিয়ে দেন বলিভিয়ার গোলরক্ষক। তবে ৩১ মিনিটে আর ভুল করলেন না এই চেলসি মিডফিল্ডার। জুলিয়ান আলভারেজ ও ডি মারিয়া হয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে বল পেয়ে যান এনজো। সেখান থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে তিনি দলকে এগিয়ে দেন।
এরপরই দশ জনের দলে পরিণত হওয়া বলিভিয়া আরও চাপে পড়ে যায়। তারই সুযোগ নিয়ে বিরতির আগমুহূর্তে লিড ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তালিয়াফিকো। ডি মারিয়ার ফ্রি কিক বলটি তিনি হেডে লক্ষ্যভেদ করেন। ২-০ ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় স্কালোনির শিষ্যরা।
সেকেন্ড হাফে ৮৩ মিনিটে এজিকিয়েল পালাসিওসের পাস থেকে নিকোলাস গনসালেস তৃতীয় গোল আদায় করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে মেসির বয়স ও ক্লান্তির কথা মাথায় রেখেই এদিন তাকে বাইরে রেখেছিলেন স্কালোনি।
অন্যদিকে পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে কষ্টসাধ্য জয় পেল ব্রাজিল। লিমার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ম্যাচে নেইমার গোল করতে পারেননি।
শুধু নেইমার কেন, পেরুর ওঝারা সম্ভবত তুকতাক করে ব্রাজিল আক্রমণভাগে সবার পা-ই অদৃশ্যভাবে বেঁধে ফেলেছিলেন। নইলে গোল করতে ব্রাজিলকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কেন! আর সেই গোলটাও কেন একজন ডিফেন্ডারের কাছ থেকে আসবে!
ব্রাজিল ডিফেন্ডার মারকিনিওস পেরুর ওঝাদের ‘তুকতাকে’র জাল কেটে বেরিয়ে এসেছিলেন বলে রক্ষা! ৯০ মিনিটে নেইমারের ইনসুইং কর্নার থেকে মারকিনিওসের হেডে করা গোলে পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ নিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত রইল ব্রাজিল।