প্রথম দিনটি রাঙিয়ে রাখতে টসে জিতে বোলিং বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মমিনুল। কিন্তু তার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত করতেই যেন অটল পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। কিউই অচলায়তন ভেদ করে সারাদিনে একটিবার মাত্র উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। তাও আবার ওপেনার উইল ইয়ং ক্রিজে জমে গিয়ে ফিফটি আদায় করে নেওয়ার পর।
কিন্তু ওই পর্যন্তই। সারাদিনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কোন সাফল্য নেই আর। টম ল্যাথাম এতোটাই জমে গিয়েছেন যে ক্যারিয়ারে আরও একটি দ্বিশতকের অপেক্ষায় তিনি। অপরাজিত রয়েছেন ১৮৬ রানে। ডেভন কনওয়ে অপরাজিত রয়েছেন নড়বড়ে ৯৯ রানে। ইয়ং আউট হন ৫৪ রানে।
ওপেনিং জুটিতেই দারুণ শুরু করে কিউইরা। ফলে বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষা নিয়ে ক্রাইস্টচার্চে দাপট দেখাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ দল প্রথম সেশনে কোনো উইকেটই নিতে পারেনি। দুবার রিভিউ নিয়ে দুবারই বেঁচে গেছেন ল্যাথাম। প্রথম সেশনে ২৫ ওভারে মোট ৯২ রান তুলেছে কিউইরা।
প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনও দারুণ গিয়েছে কিউইদের। রান ২০০ ছাড়িয়েছে। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ল্যাথাম। তবে আরেক ওপেনার উইল ইয়ংকে এই সেশনে বিদায় করতে পেরেছে বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের বলে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেন তিনি। ১১৪ বল খেলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৪ রান করেছেন এই কিউই ওপেনার।
অথচ সমীকরণটা উল্টো হতে পারত। কারণ এই ভেন্যুতে প্রথম দিনে ব্যাটিং করা খুব কঠিন। আগের সাত টেস্টে প্রথম ইনিংসে অর্ধশত রানের উদ্বোধনী জুটি ছিল না একটিও। এবার এই কঠিন কন্ডিশনে শুরুতেই ১৪৮ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দিয়েছেন দুই কিউই তারকা ল্যাথাম ও ইয়ং। এটাই এই মাঠে শুরুর জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ল্যাথাম ও হ্যামিশ রাদারফোর্ডের ৩৭ রানই ছিল এতদিন সর্বোচ্চ জুটি।