সমন্বয়কারী শিক্ষকের ‘অসহযোগিতায়’ দেরিতে শুরু জাবির ভর্তি পরীক্ষা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৩১, ২০২২, ০৪:২৩ পিএম

সমন্বয়কারী শিক্ষকের ‘অসহযোগিতায়’ দেরিতে শুরু জাবির ভর্তি পরীক্ষা

পরীক্ষাকেন্দ্রের আঞ্চলিক সমন্বয়কারীর ‘অসহযোগিতার’ জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার চতুর্থ শিফটের পরীক্ষা দশ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের পরীক্ষা কেন্দ্রের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আইন অনুষদের ডিন তাপস কুমার দাসের সাথে কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অফিসের সমন্বয়হীনতার জন্য এ বিলম্ব হয়।

এবিষয়ে কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অডিটোরিয়াম কেন্দ্রের জন্য প্রতিবছর আমরা রসায়ন বিভাগে প্রশ্নপত্র পাঠাই। শিক্ষকরা সেখান থেকে প্রশ্ন নিয়ে এসে পরীক্ষা নেয়ার পর তা আবার রসায়ন বিভাগে ফেরত পাঠান। এবছর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন মহোদয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদে  প্রশ্নপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অডিটোরিয়ামের সমন্বয়কারী ‘নিরাপত্তার’ কথা বলে তৃতীয় শিফট থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে আসতে অস্বীকৃতি জানান। এইজন্য পরের শিফটে পরীক্ষা দেরিতে শুরু হয়।’

এবিষয়ে তাপস কুমার দাস বলেন, ‘এখানে প্রশ্ন পৌঁছায় দিতে দেরি হয়েছে বিধায় পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হয়েছে। সিকিউরিটি কনসার্নের জন্য প্রশ্ন এবার বরাবরের মত কেমিস্ট্রি বিল্ডিংয়ে দেয়া হয়নি, সোশ্যাল সাইন্স বিল্ডিংয়ে দেয়া হয়েছিল।  প্রতিবার হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্য দিয়ে প্রশ্ন নিয়ে যাওয়া এবং আসা এর মধ্যে যদি কেউ খাম ধরে টান দেয় তবে তার দায়ভার সম্পূর্ণ যে বহন করছে তার হবে। এখানে লেট হওয়াটা বিষয় না পরীক্ষা ৫৫ মিনিট হওয়ার কথা ৫৫ মিনিটই হবে।’

পর্যাপ্ত জনবল ও পরিবহন সংকটের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় সব বিল্ডিংয়ে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় না। পাশাপাশি ভবনগুলোর সাথে সমন্বয় করে পাঠানো হয়ে থাকে৷ গতবছর গুলোয় আমরা রয়াসন বিল্ডিংয়ে প্রশ্ন পাঠাইতাম। এবছর সমাজবিজ্ঞান বিল্ডিংয়ে পাঠানোর  সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেসময় আইন অনুষদের ডিন তাপস কুমারও দ্বিমত করেননি। তৃতীয় শিফটে ঝামেলার পর আমি নিজে  চতুর্থ শিফটের প্রশ্নপত্র নিয়ে আসি। ডিন অফিসে সকল কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র বুঝিয়ে দিয়ে তারপর আমাকে বের হতে হয়।’

এবিষয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আকবার হোসেন বলেন, ‘এবারে স্টুডেন্ট সংখ্যা বেড়ে গেছে, জ্যাম বেড়ে গেছে। আসলে হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর মাথার ওপর দিয়ে তো আর গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। ওদের পরীক্ষা যতক্ষণ হওয়ার ততক্ষণই হবে।’

Link copied!