সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৪:০৯ এএম
গোপালগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় এক নেতা নিহত হয়েছেন, আহত হয়ছেন অর্ধশতাধিক। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় কমপক্ষে ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
নিহত শওকত আলী দিদার (৪০) স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, বিএনপির নেতাকর্মী গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন। কেন এমন হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে শুনেছি, ব্যানার টানাটানি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়ার অদূরে দোলা পাম্পের বিপরীত পাশ থেকে শওকত আলী দিদার নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।
আহতদের মধ্যে এস এম জিলানী, তাঁর স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না, রাজু বিশ্বাস, মাহাবুব খান মুরাদ, লিন্টু মুন্সী, গোপালগঞ্জের সালমান সিকদার, সুজন সিকদার, সবুজ সিকদার, ঢাকার মতিঝিল এলাকার নাসির আহমেদ মোল্লা, বাদশা মোল্লা, নিশান, হাসান, মাতুয়াইলের আলাউদ্দিনসহ ১৬ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এবং তিনজনকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। পরে জিলানী, তার স্ত্রী রত্না ও বাদশার অবস্থার অবনতি হলে, তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া সময় সময় টিভির গোপালগঞ্জের ক্যামেরা পারসন এইচ এম মানিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. ফারুক আহমেদ জানান, এস এম জিলানীসহ ১৬ জনকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশির ভাগেরই মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা না গেলে চিকিৎসাধীনদের শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
এদিকে গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
হামলার কথা স্বীকার করে ঘোনাপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা আলীমুজ্জামান বলেন, এস এম জিলানীর গাড়িবহর ঘোনাপাড়া অতিক্রমের সময় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে পদদলিত করে। বিষয়টি আমরা মাইকিং করে সবাইকে জানালে, স্থানীয়রা সংগঠিত হয়ে তাদের প্রতিরোধ করেন। তখনই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে।