মিরসরাইয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত অন্তত ১০

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৬, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম

মিরসরাইয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত অন্তত ১০

ছবি: সংগৃহীত

কমিটি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

বুধবার, ২৬ মার্চ উপজেলার বারৈয়াহাট পৌরসভার শান্তিরহাট রাস্তার মাথায় এ সংঘর্ষ হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত যুবকের নাম মো. জাবেদ (৩৫), তার বাসা নগরীর বায়েজিদ এলাকায়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মো. সেলিম বলেন, মিরসরাই উপজেলা, বারৈয়াহাট ও মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দুদিন ধরে দলটির কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে দুপুরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুটি পক্ষ।

“হতাহতরা সবাই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। নিহত ওই যুবক থাকত শহরে। কেন সে এখানে এসেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার মিরসরাই উপজেলা, বারৈয়াহাট ও মিরসরাই পৌরসভার তিনটি ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে পদধারী ও পদবঞ্চিতদের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। মঙ্গলবার একটি পক্ষ মহাসড়ক অবরোধ করে।

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে স্বাধীনতা দিবসের দিন সকাল ৬টা থেকে মিরসরাই শহীদ মিনারে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।

এর মধ্যেই সকালে বারৈয়াহাট পৌর বিএনপির আহ্ববায়ক মাঈনুদ্দিন লিটনের বাড়িতে জড়ো হয় তার অনুসারীরা। পরে সেখানে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল আওয়াল চৌধুরী, বারৈয়াহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈনুদ্দিন লিটনের বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে নুরুল আমিন চৌধুরী সংঘর্ষে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন, “আমার কোনো লোক নাই। সবাই বিএনপির মানুষ। যারা হামলা করেছে তারাও বিএনপি, আর যারা হামলার শিকার হয়েছে তারাও বিএনপি।”

তিনি বলেন, “আমি কোন পদপ্রার্থী ছিলাম না। কমিটি হয়েছে, যারা পদ পেয়েছে, তাদের সাথে পদবঞ্চিতদের দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। কমিটি দিয়েছে সংগঠন, কারা কেন মারামারি করছে তারা ভালো বলতে পারবে।”

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির (জেলা) এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে মনজুর হোসেন সুমন (৪৩) ও শহীদুল ইসলাম (৫৩) নামে দুই জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তারা দুই জনই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন।

Link copied!