জুলাই ২৮, ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ পরিশোধ ২৬ শতাংশ বেড়ে ৩৩৬ কোটি ডলারে উপনীত হয়েছে।
রোববার (২৮ জুলাই) প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
উচ্চ সুদহারের কারণে ঋণের সুদ পরিশোধ ৪৪ শতাংশ বেড়ে ১৩৫ কোটি ডলার হয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ায় বাড়ছে আসল পরিশোধ। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) ইআরডি সূত্র জানায়, ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ার কারণ উচ্চ সুদ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সুদসহ ঋণ পরিশোধের ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ার ঘটনা বাংলাদেশের বাজেটের ওপর চাপ তৈরি করবে। এতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো খাতে সরকারের বিনিয়োগের সক্ষমতা কমে আসবে।
বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, “আমাদের ঋণ বাড়ছে, সেই সঙ্গে পরিশোধও বাড়ছে। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধে বেড়ে ৫-৬ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যে আমরা রাজস্ব আদায় যদি বাড়াতে না পারি ও বৈদেশিক মুদ্রার জোগানও যদি না বাড়ে- তবে ঋণ পরিশোধের চাপে অর্থনীতিতে দুর্দশা নেমে আসতে পারে।”
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আসল ও সুদ বাবদ উন্নয়ন সহযোগীদের বাংলাদেশের পরিশোধের অঙ্ক ছিল ২৬৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে আসল ১৭৩ কোটি ডলার বিলিয়ন ডলার এবং সুদ প্রায় ৯৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলার পরিশোধ হয়েছিল বাংলাদেশের।
শেষ হয়ে যাওয়া অর্থ বছরে আসল ও সুদ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যথাক্রমে ২০১ কোটি এবং ১৩৫ কোটি ডলারে এসে ঠেঁকেছে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা জানান, প্রথমত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং দ্বিতীয়ত ডলারের মূল্য বৃদ্ধি- দুটি কারণে সুদ হার বেড়েছে। তারা জানান, এখন সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর) সুদ হার ৫ শতাংশেরও বেশি। যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ছিল ১ শতাংশের কম। অন্যদিকে বাংলাদেশের বাজারভিত্তিক ঋণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বাংলাদেশকে এখন তাই সুদ বাবদ বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে।