এখন থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে ঢাবির অনুমতি লাগবে: প্রক্টর

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ৫, ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম

এখন থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে ঢাবির অনুমতি লাগবে: প্রক্টর

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কোনো প্রোগ্রামের অনুমতি ডিএমপি একা দিবেন না, ঢাবি প্রশাসনের অনুমতি নিবেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি সম্মেলনে আসা মানুষের ঢলে নানা ধরনের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। যানজটের কা  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নানাবিধ সমস্যা যেমন: অতিরিক্ত যানজট, নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস বাতিল, উপচে পড়া ভীড় প্রভৃতি সৃষ্টি করেছে।  আজ মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ঢাবি ক্যাম্পাসে হাঁটলে দেখা যায় গতকাল মধ্যরাত থেকেই আশেপাশের রাস্তায় প্রচন্ড যানজট এবং বাস পার্ক করে রাখা। ফলে এই ধরনের কর্মসূচির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও অনুমতি নেয়া প্রয়োজন বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর।

সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলনে আসলেও মূলত ভীড়ের একটি বড় অংশ ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাবি ক্যাম্পাসে। তারা কলা ভবনের মেয়েদের ওয়াশরুমে ঢুকে যাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। বিভিন্ন স্থানে মূত্রত্যাগ করতে দেখা গেছে তাদের। রাজু ভাস্কর্যসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সম্মেলনে আসা লোকদের উপচে পড়া ভীড়ের পাশাপাশি বসেছে আতর, জামাকাপড় প্রভৃতির দোকান।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ভীড়ের কারণে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।  ঢাবির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলাম বলেন, ‍‍`শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ভিড় হওয়া একদমই বাঞ্ছনীয় নয়। এটা ছুটির দিনে করা উচিৎ ছিল, কিন্তু করে যখন ফেলেছে তখন কর্তৃপক্ষ আরো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারত।‍‍` 

ঢাবির ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোলাইমান হোসেন বলেন, আজকের প্রোগ্রাম টা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। প্রোগ্রাম টা ভালো, কিন্তু আপনাদের তো বুঝতে হবে শিক্ষার্থীদের কেমন ভোগান্তি হচ্ছে। আমি ক্লাস শেষ করে হেঁটে টিএসসিও আসতে পারছিলাম না। তারা তো চাইলে এটা ছুটির দিনে করতে পারত।‍‍`  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা এটা নিয়ে খুবই বিব্রতকর অবস্থায় আছি। কিন্ত এখানে কিছু করার মতো মেকানিজম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাই। আমরা এদের লাঠিপেটা করে বের করে দেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে আমার শিক্ষার্থীদের নামাতে হবে। সেটা হবে একটা যুদ্ধ ঘোষণা করা ওদের সাথে, তাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।  

এই বিষয়ে ভবিষ্যত পদক্ষেপ নিয়ে প্রক্টর জানান উপাচার্য মহোদয় দেশে আসলে ডিএমপি কমিশনারকে একটা চিঠি দেওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। তিনি ডিএমপিকে বলেছেন এরপর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কোনো প্রোগ্রামের অনুমতি তারা একা দিবেন না, ঢাবি প্রশাসনের অনুমতি নিবেন।

ঢাবির ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ত্বকী আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসে আজকে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তা মোটেও কাম্য নয় আমাদের। যেসব শিক্ষার্থী দূর থেকে আসে তাদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা আশা করব প্রক্টরিয়াল টিম এবং কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। 

আরও পড়ুন: গুমের অভিযোগ বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে: তদন্ত কমিশন 

সকালে যেসব শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা দীর্ঘসময় জ্যামে আটকে ছিলেন বলে জানান। ১৫ টির অধিক বিভাগে ক্লাস এবং একটি বিভাগে মিডটার্ম পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে যানজটের কারণে । 

বিভিন্ন নারী শিক্ষার্থী তাদের ফেসবুক একাউন্টে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন এবং তারা মেট্রো স্টেশন থেকে হেটে টিএসসি আসতে যেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শর্মিলা সুরভী পুষ্পিতা তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন তিনি ‍‍`এখানে মেয়ে কি করে?‍‍` এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। 

 

Link copied!